মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এখন জনগণ স্বাধীন, এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা: ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছাত্রজনতার এ বিজয়কে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা অধিকৃত দেশের মতো ছিলাম। তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) মনোভাব ছিল একনায়কতন্ত্রের মতো। তারা সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করত। এখন বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীন। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এখন আনন্দে মেতে উঠেছে সারা বাংলাদেশের জনগণ। সব জায়গায় আনন্দ মিছিল হচ্ছে। আন্দোলনরত সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন আমরা আনন্দ অনুভব করছি। আমাদের এখানে অনেক সমস্যা আছে। আমরা এখন নতুন করে শুরু করতে চাই। আমাদের জন্য সুন্দর একটি দেশ তৈরি করতে চাই। এটা আমাদের অঙ্গীকার। ছাত্র-জনতাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা তাদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেছেন, আমরা মুক্ত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আসলে আমরা কী করতে চাই। আশা করছি আমরা খুব ভালোভাবে শুরু করতে পারব।

বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে আপনার অবস্থান কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করে যাব, আমি যেটা করতাম। আমি এখন স্বাধীনভাবে আমার কাজ করে যেতে পারব। আপনারা জানেন যখন শেখ হাসিনা সরকারে ছিল, তিনি আমাকে পারসোনালি আক্রমণ করেছেন। এখন সেটির অবসান হয়েছে।

এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার ভোরে এক ভিডিও বার্তায় এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্রজনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষায় এই গুরুদায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে ছেলের প্রেমিকাকেই বিয়ে করলেন বাবা!

লিউ লিয়াংগে এবং তার ৪র্থ স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মী লিউ লিয়াংগে, যিনি এর আগে তিনটি বিয়ে করেছেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে বেশ বিতর্কিত। এবার নিজের ছেলের সাবেক প্রেমিকাকে বিয়ে করে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি সামনে আসতেই চারদিকে হৈচৈ পড়ে গেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশে।

লিউ লিয়াংগে পেশাগত জীবনে প্রভাবশালী হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ছিল ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। ২০১৯ সালে পদোন্নতি পেয়ে উচ্চ পদে আসীন হওয়ার পর প্রায় ৩৮৮৭ কোটি টাকার বেআইনি ঋণ অনুমোদন এবং ১৪১ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এসব কারণে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের গল্প আরও নাটকীয়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, লিউয়ের ছেলে এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন। তাঁদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর আগে ছেলের প্রেমিকাকে দেখতে চান লিউ। কিন্তু বাবার সামনে প্রেমিকাকে পরিচয় করানোর পর থেকেই ছেলের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে।

লিউ ছেলেকে বোঝাতে থাকেন, "মেয়েটি তোমাকে ভালোবাসে না। তোমার সম্পত্তির লোভেই সে সম্পর্ক করছে। এমন মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনে বিপদ ডেকে আনবে।" বাবার কথায় আস্থা রেখে ছেলেটি সম্পর্ক ভেঙে দেন।

কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ছেলেটি জানতে পারেন, তাঁর সাবেক প্রেমিকাকে বিয়ে করেছেন নিজ বাবা লিউ। জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই লিউ ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। প্রতিদিন দামি উপহার পাঠানো, ভালোবাসার কথা জানানো—সবকিছুই চলতে থাকে। অবশেষে তরুণী লিউয়ের প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দেন, এবং তাঁরা বিয়ে করে ফেলেন।

এই ঘটনায় লিউয়ের ছেলে এতটাই মানসিক আঘাত পান যে, তিনি গভীর বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করেন। পরে তাঁকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের নানা বিতর্কে জড়ানো লিউ লিয়াংগের এই কাণ্ড সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Header Ad
Header Ad

রাবিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচী। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। এবার পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পোষ্য কোটা পুনরায় বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে তারা।

এসময় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন,‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। পাঁচ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল করে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া প্রশাসন ভবন অবরোধকারীদের শাস্তিও দাবি করেন বক্তারা।

সিনেট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

 

এরআগে, গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী ও পরিবহন কর্মচারী সমিতির’ ব্যানারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।

গত ২ জানুয়ারি দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। ৮ জানুয়ারি সারাদিন কর্মবিরতি পালন করবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত ১ জানুয়ারি সহায়তা ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ১% কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সম্পূর্ণ কোটা বাতিলের দাবিতে পরদিন প্রশাসন ভবনে তালা দেন কিছু শিক্ষার্থী। ফলে রাতে কোটা সম্পূর্ণ বাতিলে বাধ্য হন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

Header Ad
Header Ad

মন্ত্রিত্ব হারানোর চাপে টিউলিপ, চীনে সরকারি সফরে যেতে বাধা

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া এবং তা গোপন করার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক চাপে রয়েছেন। সরকারি সফরে চীন যাওয়ার কথা থাকলেও তাকে যুক্তরাজ্যে থেকে তদন্তের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী রাচায়েল রিভিসের সঙ্গে চীন সফরে তার যাওয়ার কথা ছিল। তবে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নির্দেশে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন মন্ত্রিসভার ‘মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডের’ উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লন্ডনের ফ্ল্যাটের তথ্য গোপন করা ছাড়াও বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, তার খালা এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশ করে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

লন্ডনের ফ্ল্যাটের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর থেকে টিউলিপের ওপর চাপ বাড়ছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্ব হারানোর মুখে পড়তে পারেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, কিন্তু তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে।

ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেছেন, "কীভাবে টিউলিপ সম্পদ অর্জন করেছেন, তা প্রকাশ করা জরুরি। তার খালার দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পদের কোনো সংযোগ রয়েছে কি না, সেটি তদন্ত হওয়া উচিত।"

অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক বাজারে দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকলেও এখন নিজেই দুর্নীতির অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতি তাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে ছেলের প্রেমিকাকেই বিয়ে করলেন বাবা!
রাবিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
মন্ত্রিত্ব হারানোর চাপে টিউলিপ, চীনে সরকারি সফরে যেতে বাধা
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার ‍৩ ভুয়া কর্মকর্তা
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত
কলকাতা বিমানবন্দরে আটকে পড়া ২২০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন
ঢাবির মুহসীন হলের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মাথায় পড়লো ঘুমন্ত শিক্ষার্থীর  
চুয়াডাঙ্গা ডিসির অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর হ্যাক, অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে
দিল্লি থেকে ভিসা সেন্টার স্থানান্তরে সাড়া নেই ইউরোপের দেশগুলোর  
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৩৬  
পল্টনে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
শ্রমিকলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলো বিএনপির নেতাকর্মীরা  
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা  
টিউলিপের ওপর আস্থা রাখতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
হানিমুনে মালদ্বীপ যাচ্ছে তাহসান ও রোজা  
যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ে ৫ জন নিহত  
ঘুম থেকে উঠে দেখি, রাতারাতি মেজর ডালিম হয়ে গেছি  
শীতের মধ্যে দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
বিডিআরে বিদ্রোহ হয়নি, ‘ওটা সেনা হত্যার ষড়যন্ত্র’: তদন্ত কমিশনের প্রধান
বাংলাদেশে ভূ-কম্পন অনুভূত