রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার

আবু সাঈদের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। আবু সাঈদের মা-বাবা ও ভাই শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু সাঈদের পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দেখা করার সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার, পরিবারের দায়-দায়িত্বসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবেন বলে জানা গেছে।

১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আবু সাঈদ একাই দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলার চেষ্টা করেন। পুলিশের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদকে লক্ষ্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ। তিনি ছিলেন দরিদ্র পরিবারের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন। অভাবের সংসারে অন্য ভাইবোনেরা লেখাপড়া করতে না পারলেও আবু সাঈদ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। পুরো পরিবারের স্বপ্ন ছিল আবু সাঈদকে ঘিরে।

Header Ad

আজ থেকে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার সীমা থাকছে না

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোল‌নে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থে‌কে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থে‌কে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নগদ অর্থ তোলার ওপর বিধিনিষেধ আর থাকছে না।

এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রায় এক মাস পর শিথিল করা হলো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দায়িত্ব থেকে বিরত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়, গ্রাহকদের দৈনিক নগদ উত্তোলনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করতে।

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার ১১ মাস, নিহত প্রায় ৪১ হাজার

ফাইল ছবি

দীর্ঘ ১১ মাস ছাড়িয়ে গেছে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সাথে হামাসের সংঘাতের। তবুও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদাররা। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ৪১ হাজারে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার গাজায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন নারী এবং দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬১ জন নিহত এবং আরও ১৬২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ মানুষ।

দখলদারদের এমন বর্বর হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘের বলছে, গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সবাই খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ গ্রাফিক্স

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক আয়োজনে নয়াদিল্লিকে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, চলতি মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে বৈঠকটি করার প্রস্তাব করা হলেও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

সূত্র বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই অধিবেশনে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার মাঝে একটি বৈঠক আয়োজনে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লির কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ এখন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং নিউইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য মোদির অ্যাজেন্ডাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য ঘিরে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সাক্ষাৎকারে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন ইউনূস। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এই উপদেষ্টার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি।

চলতি সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের সমালোচনা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল ‘‘ইসলামপন্থী’’ বলে ভারতের যে ‘‘আখ্যান’’ রয়েছে, দেশটিকে সেটি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

পিটিআইকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে তাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে। ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন। দেশে এটা কেউ পছন্দ করছে না। এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়।’

সর্বশেষ সংবাদ

আজ থেকে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার সীমা থাকছে না
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার ১১ মাস, নিহত প্রায় ৪১ হাজার
নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা
আরও ৫০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলো বাংলাদেশে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা থাক‌ছে না, রোববার থেকেই কার্যকর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
আমিরাত থেকে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি, স্বাগত জানালেন সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত
ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা, বন্যার জন্য তিনি দায়ী: জয়নুল আবেদিন
বিএনপির ৮ নেতাকে অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি
হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক কারাগারে
সাবেক ৩১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপির পাচার করা ১ লাখ কোটি টাকার খোঁজে দুদক
পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে সালমান খানের
বিটিএসের টানে মাদ্রাসা থেকে পালানো ৫ ছাত্রীকে বগুড়া থেকে উদ্ধার
বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছো: সালমান শাহকে শাবনূর
সন্ধ্যায় দেশে ফিরবেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি
দুই নভোচারীকে না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে এলো বোয়িং স্টারলাইনার
রংপুরে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ছাত্রদলের
আগামী ৫ দিন বাড়তে পারে বৃষ্টিপাত, কমতে পারে তাপমাত্রা
সীমান্তে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা