পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন যেসব শর্তে স্থগিত
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলমান আন্দোলন ছয় শর্তে স্থগিত করেছেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতিকে একীভূতকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির (অতিরিক্ত সচিব) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সমিতির এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দফা দাবি পূরণে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে উভয়পক্ষের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে ছয়টি শর্তে আজ সাময়িকভাবে কর্মবিরতি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- কমিটি গঠন ও প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আরইবির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়রানির উদ্দেশে পবিসগুলোতে যেতে পারবে না; কমিটিকে পবিসের বিদ্যমান সব পদের বৈষম্য দূরীকরণ ও একীভূতকরণসহ অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়নে গ্রহণযোগ্য সুপারিশ দাখিল করতে হবে; চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত সব কর্মচারীকে স্ব-স্ব পদে নিয়মিত করতে হবে; প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পবিসগুলোর কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হয়রানিমূলক বদলি করা যাবে না; আন্দোলনের কারণে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দু'জন এজিএম ও স্ট্যান্ড রিলিজড হওয়া দু'জন এজিএমকে স্ব-পদে বহাল এবং এজিএম (ও অ্যান্ড এম) আবদুল হাকিমকে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত করতে হবে; দাবি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগের পদক্ষেপ নিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা না গেলে পুনরায় মাঠে নামবেন আন্দোলনকারীরা।
রাজন কুমার দাশ বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ তথা প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ আস্থাশীল। তারাও সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি সহানুভূতিশীল। আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ রইল।