শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | ২ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ৫৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভোগেন বেশি: জরিপ

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারেন না অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান, হলের পরিবেশ নিয়ে অসন্তষ্টি, জ্যেষ্ঠ সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিং, যৌন হয়রানি, ভবিষ্যৎ পেশা নিয়ে দুশ্চিন্তা, মন খুলে কথা বলতে না পারার কারণে হতাশা এবং বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী।

প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতা ও প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পারার কারণে ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মনে আত্মহত্যার চিন্তা আসে। ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ’ শিরোনামে জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশের ৮৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১ হাজার ৫৭০ সংখ্যক শিক্ষার্থীর ওপর জরিপটি চালানো হয়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ ছাত্রী ও ৪৮ শতাংশ ছাত্র। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশের বয়স ছিল ১৭ থেকে ২৬ বছর। বাকি শিক্ষার্থীদের বয়স ২৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ২৩ শতাংশ ছিলেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

জরিপে বলা হয়, উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশই উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরির স্বপ্ন দেখছেন। তবে শিক্ষা জীবনের মাঝামাঝিতে এসেও এখনও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কিছুই ভাবছেন না প্রায় ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী।

প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে হতাশার বিভিন্ন উপসর্গে ভোগেন। তাদের ক্লান্তি, ওজন কমে যাওয়া, কোনো কিছু উপভোগ না করা, ঘুমের ধরনের পরিবর্তন, আত্মহত্যার চিন্তা, কাজে মনোযোগ দিতে না পারা ইত্যাদি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩ শতাংশ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের উপসর্গের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।

বিষণ্নতার কারণ ও আত্মহত্যার ভাবনা: শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠ সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিং, যৌন হয়রানি তাদের বিষণ্নতার দিকে ধাবিত করে।

৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন সহপাঠী ও সিনিয়র সহপাঠীদের হাতে, এ হার প্রায় ৮৬ শতাংশ। প্রায় ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অসন্তষ্ট। ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না।

জরিপে বলা হয়, প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতা ও প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পারা থেকে অনেকের মনে আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে কিন্তু আত্মহত্যা চেষ্টা করেননি ৩৯ শতাংশ, আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে এবং উপকরণও জোগাড় করেছেন ৭ শতাংশ। তবে প্রায় ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাদের মাথায় কখনো আত্মহত্যার চিন্তা আসেনি। এ ছাড়া মা–বাবার সঙ্গে অভিমান, প্রেমঘটিত বিষয়, অর্থনৈতিক সমস্যা, অন্যরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করায় আত্মহত্যা করার চিন্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

হতাশায় এগিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা:

সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার উপসর্গ নিয়ে তুলনা করতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার উপসর্গ অনুভব করার হার বেশি। ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তারা এই ধরনের বিষণ্নতার উপসর্গগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন। বাকি ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের মাঝে হতাশার উপসর্গ দেখা যায় নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশার চিত্র তুলনামূলক কম। ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা হতাশার উপসর্গগুলো অনুভব করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা এই ধরনের উপসর্গের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন।

ক্যাম্পাসে বুলিং ও যৌন নিগ্রহ:

ক্যাম্পাস জীবন বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে আড্ডাবাজি, খুঁনসুটি, হৈ-হুল্লোড়; এক কথায় প্রাণবন্ত মুহূর্তের চিত্রপট। কিন্তু এই সুখস্মৃতির মুহূর্তগুলোর পাশাপাশি ক্যাম্পাস জীবনে হতাশার গল্পও থাকে অনেকের। সহপাঠী, সিনিয়র কিংবা শিক্ষক কর্তৃক ক্যাম্পাসে শারীরিক বা মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হওয়াই ক্যাম্পাস বুলিং।

জরিপে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। যার মাঝে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, র‍্যাগিং এর শিকার হয়েছেন ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ।

হলের পরিবেশও প্রভাব ফেলছে বিষণ্নতায়: বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অনেকেই হল বা ডর্মেটরিতে অবস্থান করে। হলে থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার পরিবেশও একজন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে। হলের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির ক্ষেত্রে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ জানিয়েছেন তারা পুরোপুরি অসন্তুষ্ট। সন্তুষ্টির কথা বলেছেন মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকিরা জানিয়েছেন তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট।

৭০ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন হলের পরিবেশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট অব সোশাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ওবায়দুল্লাহ আল মারজুক, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের কমিউনিটি ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল হারুন এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সামাজিক সংস্কার, অসচেতনতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অপ্রতুলতার বিষয়টিও প্রকাশ পেয়েছে জরিপে। প্রায় ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয় না। ২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এই সম্পর্কে কিছু জানেন না। এজন্য ক্যাম্পাসে কাউন্সেলিং ইউনিটের ব্যবস্থা করা, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা, নিরাপদ বাসস্থান ও উন্নতমানের খাদ্যব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক উন্নয়ন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ও শিক্ষাসংক্রান্ত মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব রয়েছে শিক্ষার্থীরা কেন হতাশা ও বিষণ্নতায় ভুগছে, তা বোঝা ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। বিশেষ করে হলের পরিবেশ নিয়ে যে অস্থিরতা সেই সমস্যার সমাধান নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তিশালী একটি পক্ষের সদিচ্ছা দরকার। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, শুধু ১০০ মিটার দৌড়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোই অর্জন নয়, আরও নানাভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে হতাশায় ভুগলে চিকিৎসা নিতে হবে। কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যার চিন্তা যেন না আসে, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ছোট থেকে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

Header Ad

হামাসপ্রধান সিনওয়ারের ‘শেষ মুহূর্তের’ ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করল ইসরায়েল

ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের বিশাল সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে এরইমধ্যে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের অন্তিম মুহূর্তের ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে দেখা যায়, নিহত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে সিনওয়ার ড্রোনের দিকে একটি কাঠের টুকরো ছুঁড়ে মারছেন।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

সংবাদ মাধ্যমটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিওয়ারকে হত্যার আগের মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে সিনওয়ারকে মুখোশ পরে থাকতে দেখা যায়। এডিট করা এই ভিডিওতে সিনওয়ারকে লাল রঙ দিয়ে বৃত্তাকারে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভিডিওতে একটি কক্ষে সিনওয়ারকে বসে থাকতে দেখা যায়। সেই কক্ষের ভেতর ভেঙে পড়া নির্মাণ সামগ্রীর ছড়াছড়ি। এ সময় তার দিকে ড্রোন ধেয়ে আসতে দেখে লাঠি ছুঁড়ে মারেন সিনওয়ার।

আইডিএফের মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন এবং সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করে বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনাগুলোর বর্ণনা দেন।

হ্যাগারি বলেন, ‘সিনওয়ার যেখানে লুকিয়ে ছিলেন, সে জায়গাটিকে আমাদের বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে ঘিরে রেখেছিল। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে তিনি সেখানে আছেন কি না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা সংকল্পবদ্ধ ভাবে অভিযান চালিয়ে যাই।’

হ্যাগারি তারপর এই হামলার বিস্তারিত জানান। আইডিএফ গাজায় তিন হামাস যোদ্ধাকে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে পালিয়ে যেতে দেখে।

‘অন্য জায়গা থেকে পালিয়ে এসে সিনওয়ার একাই একটি ভবনে প্রবেশ করেন। আমাদের বাহিনী ড্রোন দিয়ে এই এলাকাটির ওপর নজরদারি চালায়। আপনারা সেটি এখন এই ফুটেজে দেখতে পাবেন’, যোগ করেন হ্যাগারি।

ভিডিওটি দেখানোর পর হ্যাগারি ব্যাখ্যা দেন, ‘সিনওয়ারের হাতে গুলির আঘাত ছিল। এখানে তাকে আমরা মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। তার জীবনের অন্তিম মুহূর্তে তিনি ড্রোনের দিকে একটি কাঠের টুকরো ছুঁড়ে মারেন। আমরা তাকে ভবনের ভেতর অবস্থানরত জঙ্গি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করি। তারপর তাকে খুঁজে বের করার প্রথম ধাপ হিসেবে সেনারা ভবনের উদ্দেশে গুলি চালায়। তারপর তারা ভেতর প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে সেনারা সিনওয়ারকে খুঁজে পায়। তখন তার গায়ে একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, সঙ্গে একটি পিস্তল ও ৪০ হাজার শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) ছিল। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে আমাদের সেনারা তাকে হত্যা করে।’

হ্যাগারি বলেন, ‘গাজা থেকে সন্ত্রাসীরা গত বছর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। সেটা ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হামলার ঘটনা। এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন সিনওয়ার।’

‘গত এক বছর, সিনওয়ার ন্যায়বিচার এড়াতে সক্ষম হলেও অবশেষে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা বলেছিলাম আমরা তাকে খুঁজে বের করে তার বিচার করব, এবং আমরা তা করে দেখিয়েছি। গাজার বেসামরিক মানুষের মাঝে লুকিয়ে থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার’, যোগ করেন হ্যাগারি।

Header Ad

দর্শনায় বিজিবির অভিযানে ২ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

দর্শনায় বিজিবির অভিযানে ২ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিজিবির এক অভিযানে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৩শ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের নির্দেশে বিশেষ টহল দলের হাবিলদার মো: মুরাদুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশনে মহানন্দা এক্সপ্রেসে এক অভিযান চালায়।

এসময় ট্রেনের একটি বগিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ব্যাগ উদ্ধার করে।পরে ব্যাগের ভিতর হতে তিনটি কাচের বোতলে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৩শ’ গ্রাম ওজনের বিষাক্ত সাপের বিষ উদ্ধার হয়।

Header Ad

ভালোবাসুন বা ঘৃণা করুন, আমি পরোয়া করি না: সাকিব

সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

চরম নাটকীয়তার পর দেশে ফেরার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিসিবির পরামর্শে দেশে ফেরার ফ্লাইট বাতিল করেছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। তবে একই দিন এক ভিডিওতে কড়া বার্তা দিয়েছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক।

আবুধাবি টি-টেন লিগে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। যেখানে সাকিবের বার্তাটা এমন, ভালোবাসুক কিংবা ঘৃণা করুক; সেটার পরোয়া নেই তার। কিন্তু তার সঙ্গে কেউ যেন খেলা না করেন।

ভিডিওটিতে কেবল সাকিবকেই দেখানো হয়েছে। সাকিব বলেন, আমার জীবন, আমার নিয়ম, আমার ধরন, আমার আচরণ। আমাকে ভালোবাসুন কিংবা ঘৃণা করুন, আমি পরোয়া করি না। কিন্তু আমার সঙ্গে খেলবেন না।

ভিডিওটি বাংলা টাইগার্সের কোনো প্রমোশনের অংশ কিনা, সেটা পরিষ্কার করা হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে। পোস্টটির ক্যাপশনেও সাকিবের কথা দেওয়া হয়েছে।

ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলতে সাকিবকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভের কারণে সাকিবের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে দেশে না আসতে নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত (সাকিবকে) করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

ভারত সফরে টেস্ট অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। বিদেশে ঘোষণা দিলেও ঘরের মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানান দেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তবে দেশের মাটিতে খেলতে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাও চান সাকিব। গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় নাম আসে সাকিবের, তাকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়। ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকায় থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছেন তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হামাসপ্রধান সিনওয়ারের ‘শেষ মুহূর্তের’ ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করল ইসরায়েল
দর্শনায় বিজিবির অভিযানে ২ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার
ভালোবাসুন বা ঘৃণা করুন, আমি পরোয়া করি না: সাকিব
কুবির শেখ হাসিনা হল পেল নতুন প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর
ডিমের পর এবার মুরগির দামে ঊর্ধ্বগতি
বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আব্দুল মালেক
ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত
দুপুরের মধ্যে দেশের ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত
বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী সুজয় শ্যাম মারা গেছেন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল
কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না ড. ইউনূস
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী আটক
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মসূচি স্থগিত, সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
ইতা‌লি গমনেচ্ছুদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
এস আলমের কালো টাকা সাদা করে বরখাস্ত ৩ আয়কর কর্মকর্তা
শিগগিরই ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করছে না ভারত
৩০ লাখ করে টাকা পাবে প্রতিটি শহীদ পরিবার: মাহফুজ আলম
দিল্লিতেই থাকবেন শেখ হাসিনা, জানিয়ে দিল ভারত
নাটকে অভিষেক হলো মেহজাবীনের বোন মালাইকার