মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ | ১১ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৫ দিন সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে আবেদন বেনজীরের

বামে দুদকের লগো ডানে বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুদকে যাচ্ছেন না বেনজীর আহমেদ। ১৫ দিন সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে আবেদন করেছেন তিনি।

বুধবার (৫ জুন) দুদক কমিশনার জহুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৬ জুন দুদকে আসছেন না সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ১৫ দিন সময় চেয়ে তার আইনজীবী দুদকে আবেদন করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুদক কমিশনার জহরুল হক জানান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামী ৬ জুন যদি দুদকে হাজির না হন, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ধরে নেবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তিনি চাইলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ১৫ দিন সময় দিতে পারবে।

গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সম্পত্তির ৮৩টি দলিল জব্দের ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এরপর ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক, রাজধানীর গুলশানের আলিশান চারটি ফ্ল্যাট, শতভাগ এবং আংশিক মালিকানাধীন ২৩ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশও দেন আদালত।

এদিকে দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, গত ৬ মাসে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলেছেন, সেই টাকা কোথায় নিয়েছেন- সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। ভুক্তভোগীরা চাইলে তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৬ জুন তাকে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দুদক তাকে সুযোগ দিয়েছে এখন এটি তার বিষয় সেটি তিনি গ্রহণ করবেন কিনা।’

প্রসঙ্গত, বেনজীরের বিশাল বিত্তবৈভব নিয়ে গত ৩১ মার্চ ও ৩ এপ্রিল প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে সাবেক এই আইজিপি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে প্রায় ১৪০০ বিঘা জমিতে একটি রিসোর্ট গড়ে তুলেছে বেনজীর পরিবার। এ ছাড়া ঢাকা ও পূর্বাচলে সাবেক এ আইজিপির একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি আছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আছে অন্তত ছয়টি কোম্পানি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বেনজীরের বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পরবর্তীতে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে ১৯৬টি দলিলে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি (২০ হাজার ৭০৩ শতক), ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানিতে বিনিয়োগের সন্ধান পায় দুদক। এরপর সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

আদালতের নথি থেকে জানা যায়, বেনজীরের সম্পত্তির একটি বড় অংশ রয়েছে তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের তিন উপজেলায়। গোপালগঞ্জ সদরে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৫টি দলিলে ২৪০ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি। টুঙ্গিপাড়ায় তিনটি দলিলে ৪৭ শতাংশ, কোটালীপাড়ায় ৩৫ বিঘা জমি কিনেছেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুরের রাজৈরে ২০২১ ও ২০২২ সালে তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে প্রায় ২৮০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এলিট ফোর্স র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাড়ে চার বছর র‌্যাবের নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।

Header Ad

ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হয় কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হয় কীভাবে সেই প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা বলে ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে যাবে, আমার প্রশ্ন বিক্রিটা হয় কীভাবে? আসলে যারা এ কথা বলে তারা নিজেরাই ভারতের কাছে বিক্রি হওয়া।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই, তারা কী বিক্রি হয়ে গেছে? এতে বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আমাদেরও বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বলে দেশে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কিসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কিসের মাধ্যমে হচ্ছে? বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারাবিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত, যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোন দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এরকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়? আমি বলবো যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেছি। এখন যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই মুক্তিযদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি আরও বলেন, রেলপথ ব্যবহারের ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য যোগাযোগ সহজ হচ্ছে। ইউরোপে তো বর্ডারই নেই, তারা কি তাহলে বিক্রি করে দিচ্ছে? প্রত্যেকটা দেশই তো স্বাধীন দেশ, তারা তো বিক্রি হয়নি। তাহলে সাউথ এশিয়ায় কেন এটা বাঁধা হয়ে থাকবে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরে ভারতের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল নবনির্বাচিত দুটি সরকার কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সে বিষয়ে একটি রূপকল্প প্রণয়ন। যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে যে সম্পর্কের সূচনা হয়, তাতে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

সফরকালে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই ও বিনিময় হয়। তিনটি নবায়িত সমঝোতা স্মারক সই ও বিনিময় হয়। এ ছাড়া দুটি রূপকল্প ঘোষণা সই ও বিনিময় হওয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সফরে দুদেশের মধ্যে নেওয়া কিছু কার্যক্রমের ঘোষণার কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন ও বাংলাদেশের তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা এবং পানি সংরক্ষণের প্রকল্পে ভারতের সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ই-ভিসা চালু হবে এবং রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে মুমূর্ষু রোগীদের ভিসা আগের চেয়ে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে।

রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু এবং গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। এতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়বে।

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পরীমণি। শুনানি শেষে আদালত তার ১ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।

এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন পরীমণি। এসময় তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৮ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত দুই আসামিকে ২৫ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। এতে বলা হয়েছে, বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

উদ্বোধনের ছয় মাস না যেতেই রাম মন্দিরে ফাটল, ছাদ বেয়ে ঝরছে পানি

রাম মন্দির। ছবি: সংগৃহীত

শপথ নিতে না নিতেই একের পর এক ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অটল সেতুর ফাটলের পর এবার ছাদ ফেটে অঝোরে পানি পড়ছে অযোধ্যার রামমন্দিরে! এখনও ছয় মাসও হয়নি রাম মন্দির উদ্বোধনের। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় বইছে ভারতে।

জানা গেছে, এবছরের প্রথম বৃষ্টিতেই ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে রাম মন্দিরে। যার ফলে মন্দিরের ভেতরে এবং আশপাশের কমপ্লেক্সে পানি জমেছে। ফলে মন্দিরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই রাম মন্দিরের ছাদ ফুটো হয়ে পানি ঝরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মন্দিরের ভেতরে এবং আশপাশের কমপ্লেক্সে পানি জমেছে।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দিরটি তৈরির সময় কোনও ইস্পাত ব্যবহার করা হয়নি। ২ দশমিক ৭ একর জমির ওপর নির্মিত এ মন্দির তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৮০০ কোটি ভারতীয় রুপি।

রাম মন্দিরের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

নতুন মন্দিরের ছাদ কেন ফুটো হলো তা খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।

এদিকে ভারতের দীর্ঘতম সেতু অটল সেতুতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এর পাঁচ মাস যেতে না যেতেই সেতুটিতে ফাটল দেখা দিল। ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি রুপি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বড় আয়োজনের মাধ্যমে অটল সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এর জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭,৮৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ৫ মাস যেতে না যেতেই সেই সেতুতে দেখা গেল ফাটল।

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি হয় কীভাবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি
উদ্বোধনের ছয় মাস না যেতেই রাম মন্দিরে ফাটল, ছাদ বেয়ে ঝরছে পানি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি, মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়ার বিদায়
মারা গেলেন দেশের শীর্ষ করদাতা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া
পিস্তল দেখিয়ে হুমকি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের বিরুদ্ধে থানায় জিডি
কোপা আমেরিকায় প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল ব্রাজিল
হজে গিয়ে ৪৭ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮১৬ হাজি
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ভারত
টাঙ্গাইলে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী
সেমিতে যেতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৬ রান
রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ
কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আলোচিত পাপিয়া
ভোরে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে টিম টাইগার্স
আত্রাই বিলসুতি বিলে জব্দ করা ১৫ লক্ষ টাকার জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস
আছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য ফাঁসের অভিযোগে এডিসি জিসানুল বরখাস্ত
ভারতীয় বোর্ডকে শর্ত দিয়েছেন গম্ভীর, কোচ হলে ছাঁটাই হতে পারেন কোহলি-রোহিতরা
টাঙ্গাইলে ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার, এক ব্যবসায়ীসহ ২ জন আটক
টাঙ্গাইলে কমতে শুরু করছে যমুনার পানি