বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৫ দিন সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে আবেদন বেনজীরের

বামে দুদকের লগো ডানে বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুদকে যাচ্ছেন না বেনজীর আহমেদ। ১৫ দিন সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে দুদকে আবেদন করেছেন তিনি।

বুধবার (৫ জুন) দুদক কমিশনার জহুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৬ জুন দুদকে আসছেন না সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ১৫ দিন সময় চেয়ে তার আইনজীবী দুদকে আবেদন করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুন) দুদক কমিশনার জহরুল হক জানান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামী ৬ জুন যদি দুদকে হাজির না হন, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ধরে নেবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তিনি চাইলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ১৫ দিন সময় দিতে পারবে।

গত ২৩ মে বেনজীর আহমেদের সম্পত্তির ৮৩টি দলিল জব্দের ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এরপর ২৬ মে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক, রাজধানীর গুলশানের আলিশান চারটি ফ্ল্যাট, শতভাগ এবং আংশিক মালিকানাধীন ২৩ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশও দেন আদালত।

এদিকে দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, গত ৬ মাসে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলেছেন, সেই টাকা কোথায় নিয়েছেন- সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। ভুক্তভোগীরা চাইলে তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৬ জুন তাকে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দুদক তাকে সুযোগ দিয়েছে এখন এটি তার বিষয় সেটি তিনি গ্রহণ করবেন কিনা।’

প্রসঙ্গত, বেনজীরের বিশাল বিত্তবৈভব নিয়ে গত ৩১ মার্চ ও ৩ এপ্রিল প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে সাবেক এই আইজিপি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে প্রায় ১৪০০ বিঘা জমিতে একটি রিসোর্ট গড়ে তুলেছে বেনজীর পরিবার। এ ছাড়া ঢাকা ও পূর্বাচলে সাবেক এ আইজিপির একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি আছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আছে অন্তত ছয়টি কোম্পানি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বেনজীরের বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পরবর্তীতে অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে ১৯৬টি দলিলে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি (২০ হাজার ৭০৩ শতক), ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানিতে বিনিয়োগের সন্ধান পায় দুদক। এরপর সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

আদালতের নথি থেকে জানা যায়, বেনজীরের সম্পত্তির একটি বড় অংশ রয়েছে তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের তিন উপজেলায়। গোপালগঞ্জ সদরে ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৫টি দলিলে ২৪০ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি। টুঙ্গিপাড়ায় তিনটি দলিলে ৪৭ শতাংশ, কোটালীপাড়ায় ৩৫ বিঘা জমি কিনেছেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুরের রাজৈরে ২০২১ ও ২০২২ সালে তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে প্রায় ২৮০ বিঘা জমি কেনা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এলিট ফোর্স র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাড়ে চার বছর র‌্যাবের নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

চারটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এই প্রতিবেদনগুলো জমা দেন।

কমিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে ড. বদিউল আলম মজুমদার), পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে সরফরাজ হোসেন), দুর্নীতি দমন কমিশন (নেতৃত্বে ড. ইফতেখারুজ্জামান) এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন (নেতৃত্বে ড. আলী রিয়াজ)।

প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর পরিকল্পনা করছে। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সংস্কারের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নের বিষয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি কার্যকর রূপরেখা তৈরি হতে পারে।

সরকার বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে দেশের গণতান্ত্রিক, প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।

Header Ad
Header Ad

পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও সিলেটের পর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় বিপিএল। চট্টগ্রাম পর্ব সামনে রেখে আজ (বুধবার) এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল দুর্বার রাজশাহীর। দলটির তরফেও গণমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই সেই অনুশীলন বাতিল হয়ে গেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে অনুশীলন করার কথা ছিল রাজশাহীর। তবে সকাল পৌনে এগারোটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজকের অনুশীলন বাতিল করা হয়েছে।

দলের সূত্র জানিয়েছে, পারিশ্রমিক না পাওয়ায় তারা অনুশীলন বয়কট করেছেন। পারিশ্রমিক বাকি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, অনুশীলন বাতিলের কারণ বলেনি রাজশাহী।

বিপিএলের শুরু থেকেই পারিশ্রমিক ইস্যু রাজশাহীর। জানা যায়, এক টাকাও না নিয়ে খেলতে নেমেছেন খেলোয়াড়েরা। পরে মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুতই টাকা শোধ করে দেবেন। ১৪ জানুয়ারি টাকা পরিশোধের শেষ সময় হলেও ক্রিকেটাররা অর্থ পায়নি। তাই তাদের এমন সিদ্ধান্ত।

রাজশাহীর স্থানীয় ক্রিকেটারদের এখনও কোনো পারিশ্রমিক শোধ দেয়নি ফ্রাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী। বিদেশি কয়েকজন ক্রিকেটার ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। শেষের পথে থাকা টুর্নামেন্টে এখনও টাকা না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী আশ্বস্ত করেছে, আগামীকালের মধ্যে কিছু পারিশ্রমিক দেবে তারা। রাজশাহীর টিম ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি বলেছেন, রাজশাহী শুধু আজ বিশ্রাম নিয়েছে। তবে পারিশ্রমিক বকেয়ার কারণে অনুশীলন বাতিল কিনা, সেটি নিশ্চিত করেননি।

Header Ad
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সিউল শহরের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রথমে তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত তারা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েও তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় অভিযানটি ব্যর্থ হয়েছিল।

ইউন সুক ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের পর গ্রেপ্তার হলেন।

ইউন তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে সেই আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট তাকে অভিশংসিত ঘোষণা করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান ইউন। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৪৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের বিষয়ে যা জানা গেল
মসজিদুল হারামের প্রসিদ্ধ গাইড শেখ মোস্তফা দাব্বাগ মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা