অনুসন্ধান শেষ না হলে বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা হবে না: দুদক আইনজীবী
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
একটা অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে মামলা হয় না, যাচাই-বাছাই শেষে মামলা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বলেছেন, মামলা হওয়ার আগে অনুসন্ধান করতে হবে।
বুধবার (৫ জুন) পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, বেনজীরকে ৬ তারিখ হাজির হতে বলা হয়েছে। উনি আসেন কি না সেদিনই দেখবো।
সময় চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ চলছে তিনি যদি নির্দিষ্ট দিনে আইনজীবীর মাধ্যমে কারণ উল্লেখ করে সময় চান, তহলে দুদক বিবেচনা করে সময় দিয়ে থাকে। প্রথমবার সময় দেয়া হয়। পরে আর হয় না।
এসময় বেনজীরের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুদক জানে না উল্লেখ করে আইনজীবী বলেন, উনি বিদেশে চলে গিয়েছেন, এমন অফিসিয়াল রেকর্ড নেই। আমরা আশা করি উনি আসবেন। দুদকের অনুসন্ধান অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয় গত মার্চে। পরে সেই সংবাদ আমলে নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান করতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এরপরই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজে গত ২২ এপ্রিল অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ ও ২৬ মে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার নামে থাকা অবৈধ বিশাল সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধ করারও আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নামে থাকা ৬২৭ বিঘা জমি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বাইরেও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বেনজীর আহমেদ।