স্মরণকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী আইজিপি এখন বন্ধুহীন, হতে পারেন দুর্নীতি মামলার আসামি
ছবি: সংগৃহীত
একসময় দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ছিলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী সেই আইজিপি এখন বন্ধুহীন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও দুদকের চোখে এখনো আসামি নন, তবে অনুসন্ধান শেষে আসামি করা হবে তাকে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে বছর দেড়েক আগেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন বেনজীর আহমেদ। আর স্মরণকালের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী সেই আইজিপিই এখন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত।
আইজিপি হিসেবে অবসরের পর মাত্র ১ বছর ৮ মাস পার হয়েছে। এর মধ্যেই সঙ্গী ও বন্ধুহারা হয়ে পড়েছেন বেনজীর আহমেদ। প্রকাশ্যে আসছেন না, আবার ফোনও ধরছেন না। এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কণ্ঠেও সাবেক এই পুলিশ মহাপরিদর্শকের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ শোনা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, তিনি যতই ইনফ্লুয়েন্সার হোক না কেন, সরকার কিন্তু কাউকে কোনো ধরনের প্রোটেকশন দেবে না। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যে যতটা অপকর্ম ও অপরাধ করেছে, সে জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
আলোচনায় আসার পর থেকে কেউ কেউ বলছেন বেনজীর আহমেদ এখন দেশে নেই। আবার কারও মতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে গণমাধ্যমের এক অনুসন্ধান বলছে, এখনো রাজধানীর গুলশানের বাসাতেই রয়েছেন সাবেক এই পুলিশ মহাপরিদর্শক।
অন্যদিকে, সাবেক এই আইজিপিকে এখনো আসামি মনে করছে না দুদক। তবে যে অর্থবিত্তের সন্ধান দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তাতে আসামি হওয়ায় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সময় তাকে আসামি বলা যায় না। অনুসন্ধান শেষ হতে হবে, প্রতিবেদন আসতে হবে। তারপর তদন্ত কর্মকর্তা সেটি দাখিল করলে কমিশন যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় এবং মামলা হয়, তবেই তাকে আসামি বলা যায়।
তবে এই আইনজীবীর ভাষ্য, জব্দ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা আগে তুলে রাখলেও নতুন করে কোনো ব্যাংকে জমা দিলে তা আইনের আওতায় আসবে। সূত্র: চ্যানেল 24