পদ্মা সেতু সদরঘাটের চিরায়ত চিত্র বদলে দিয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু সদরঘাটের চিরায়ত চিত্র বদলে দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে ঘাটে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। জরুরি কাজে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হতো। কারণ গুলিস্তান থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। পদ্মা সেতু নদীপথে শৃঙ্খলা ফিরে দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই।
তিনি বলেন, আগে দেখতাম রাতের লঞ্চে জায়গা নেয়ার জন্য যাত্রীরা দুপুরের খাবার নিয়ে সকালবেলা এসে বসে থাকত। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নাই। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। একটা সময় দেখা যেত লঞ্চের ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম বললাম এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারত না। এখন অনেকটা স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ, ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হবে।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণাঞ্চলবাসীও মেট্রোরেলে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।