রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্বসেরা স্থাপনার পুরস্কার জিতলেন দুই বাংলাদেশি স্থপতি

রিয়াজ লফটের অন্দরের একাংশ এবং স্থপতি মাহমুদুল আনোয়ার ও বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জে কে সিমেন্ট লিমিটেড আয়োজিত ‘আর্কিটেক্ট অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার এবারের আসরে বিদেশি বিভাগে বর্ষসেরা স্থপতি হয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মাহমুদুল আনোয়ার। এ ছাড়া এই বিভাগের কমেন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার।

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অবস্থিত রিয়াজ লফট এবং রাজধানীর শুক্রাবাদে অবস্থিত হোটেল নন্দিনীর জন্য তারা এই পুরষ্কার পান।

রিয়াজ লফটের অন্দরের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

 

রিয়াজ লফটের মালিক রিয়াজের শৈশবের বড় একটা অংশ কেটেছে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অবস্থিত শিশুদের খেলার মাঠে খেলাধুলা করে। আর তাই মাঠের পাশেই তার নানিবাড়ি, এবং নানিবাড়ির সাথেই রয়েছে তার আড়াই কাঠার একটি প্লট। জায়গাটিতে এমন একটি বাড়ি বানাতে চেয়েছিলেন রিয়াজ যেখান থেকে চাইলেই খেলার মাঠটির দিকে তাকানো যাবে। রিয়াজের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন স্থপতি মাহমুদুল আনোয়ার। ১৬ ফুট বাই ৬৫ ফুটের বাড়িটির ছাদে এমনভাবে একটি মাচা রাখা হয়েছে যেখানে বসে সহজেই খেলার মাঠটিতে শিশুদের আনাগোনায় চোখ রাখা যায়।

এ বিষয়ে স্থপতি মাহমুদুল বলেন, বাড়িটি পুরোপুরি রাজউকের নিয়ম মেনে বানানো হয়েছে। বাড়িটি মূলত অবকাশ যাপনের জন্য ব্যবহৃত হবে বিধায় এখান থেকে খেলার মাঠটির দিকে একটি ইনফিনিটি ভিউ দেয়ার চেষ্টা করেছি আমি।

রিয়াজ লফট

 

এদিকে, রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর রোডের শুক্রাবাদ এলাকায় পুরোনো একটি ভবন কখনো হোটেল আবার কখনো বাণিজ্যিক স্থাপনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। পুরোনো ভবনটিকে একইসাথে হোটেল ও বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব দেয়া হয় স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকারকে। অতঃপর হোটেল নন্দিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পুরোনো ভবনটি। ভবনটি সাজানোর সময় মৃৎশিল্প ও হস্তশিল্পের নানা উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। একদিকে এখানে যেমন আছে সবুজের সমারোহ, তেমনি আছে আগুন লাগলে বের হওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পুরোনোকে ঢেলে সাজানোর অপূর্ব এক নজির শুক্রাবাদের এই হোটেল নন্দিনী।

স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার বলেন, ভবনের একেকটি ফ্লোর একেক রকম। ভেতরে খুব বেশি পরিবর্তন না করে অধিকাংশ সংযোজন ভবনটির বাইরের দিকেই করা হয়েছে। সাধারণ কাচ ব্যবহার না করে আমরা এই ভবনে লুভর ব্যবহার করেছি, যা একইসাথে ভবনটিকে প্রচন্ড গরমে শীতল রাখবে, রোদে ছায়া দেবে আবার ভবনটিকে দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনাতেও পরিণত করেছে।

জে কে সিমেন্ট লিমিটেড গত ৩৪ বছর ধরে ‘আর্কিটেক্ট অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিদেশি ক্যাটাগরিতে ভুটান, কেনিয়া, মালদ্বীপ, মরিশাস, নেপাল, সেশেলেস, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া ও উগান্ডার স্থপতিরা অংশ নিয়েছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে এটি ভেসে উঠলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় জীবননগর সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের আগে হঠাৎ স্ক্রিনে লেখাটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা মোবাইল জানায়। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ স্ক্রিনের সার্ভারটি বন্ধ করে দেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি শুনে কলেজে যাই। সেখানে গিয়ে স্ক্রিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বিষয়টা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

আমরা কাউকে ছাড়ব না: সারজিস

সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

হাসিনা ১৬ বছরে হাজার হাজার পরিবারকে উৎখাত করেছে। সে এক দিনে খুনি হাসিনা হয়নি। যাকে টার্গেট করেছে তাকেই মেরেছে সে। আগামীতে কাউকে এমন হতে দেব কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করবে।

কেউ যদি ভুল পথে হাঁটে তাদেরও পরিণতি একই হবে। আমরা কাউকে ছাড়ব না, তাই বুক টান করে প্রতিবাদ করতে হবে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে খুনি হাসিনার মাধ্যমে নানাভাবে অত্যাচারিত হয়েছে এ দেশের মানুষ। তার ক্ষমতার পিপাসার কাছে জিম্মি ছিল মানুষ, গোপালগঞ্জের কাছেও জিম্মি হয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ। তাই প্রত্যেকটি মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। হাসিনা খুনির দোসররা মাদরাসার ছাত্রকে দেখলে টার্গেট করে গুলি করত।

তাই ছাত্ররা পাঞ্জাবি-পাজামা না পরে টি-শার্ট গায়ে দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। শুধু মাদরাসা নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। যারা হাসিনার দোসরদের ভয়ে আন্দোলনে যেতে পারেনি তারা তাদের স্ত্রী-সন্তান এবং স্বজনদের আন্দোলনে যেতে সহযোগিতা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে তাদের কথা কেন বলতে পারছি না। প্রতিটি বাজারে চাঁদাবাজি জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।

সারজিস বলেন, ‘১৫ বছর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ, এখনো চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সিন্ডিকেট চলছে। কিন্তু কেউ তাদের নাম নিচ্ছে না। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ দেশের চিন্তা করছে না।’

আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে এ ছাড়া বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। এরপর শহীদ ১৫ জন পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad
Header Ad

ভ্যাট বাড়ায় কত টাকা বাড়ছে সিগারেটের দাম

ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে তামাকজাত পণ্য সিগারেটও।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

জারিকৃত নির্দেশনায় সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করতে বলা হয়েছে। মূলত চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে।

নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।

এছাড়া মধ্যমস্তরে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। উচ্চস্তরে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৭ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, লাইম স্টোন ও ডলোমাইটে ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
আমরা কাউকে ছাড়ব না: সারজিস
ভ্যাট বাড়ায় কত টাকা বাড়ছে সিগারেটের দাম
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কবরস্থান থেকে তরুণকে উদ্ধার
আবার ভারত থেকে ২৭ হাজার টন চাল আমদানি  
যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা
সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত: পুলিশ প্রতিবেদন  
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব
হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: জানালেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা  
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো বিরোধ নেই: নায়েবে আমির
পরিবহনের লাইসেন্স দেবে সেনাবাহিনী: পরিবহন উপদেষ্টা  
হাসিনার আমলে ‘কাঁটা তারে লাশ ঝুলত, এখন পতাকা বৈঠক হয়’
উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ  
দিনাজপুরের বিরামপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা 
মাহফিলে যোগ দিতে সিলেটে মিজানুর রহমান আজহারি
২০০ আসন পেলেও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না: আমীর খসরু  
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণ পেলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে সীমান্তে গুলি ছুড়েছে বিএসএফ
বসুন্ধরার মালিককে নিজ হাতে কেক খাইয়ে তোপের মুখে শফিক রেহমান