সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিকিৎসকদের নিয়ে কী বলেছেন মির্জা আযম?

বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়েছে ডক্টরস ফাউন্ডেশন

দেশের চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে সমালোচনা করায় তোপের মুখে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মিজা আযম। তাঁর সেই সেই বক্তব্যকে অসত্য বলে প্রত্যাহারের আহ্বান করেছে চিকিৎসকের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ডা. মো. শাহেদ রফি পাভেল ও সদস্য সচিব ডা. তাজিন আফরোজ শাহ্ স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে মির্জা আযম এমপিকে অসত্য মানহানিকর, বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক ও প্রকৌশলী এই দুটি মহান পেশাজীবী সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন, ক্ষমা চাইবেন এবং বক্তব্যটি প্রত্যাহার করবেন।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয় ‘সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম তার এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সামগ্রীকভাবে 'চোর' বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা মির্জা আযমের এই অসত্য এবং মানহানিকর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে চিকিৎসকদের অবদান যেখানে জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে, করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে চিকিৎসক সমাজ যখন শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যুদস্ত তখন তার মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের এমন মন্তব্য চিকিৎসক সমাজের মাথা নিচু করে দিয়েছে। বিডিএফ মনে করে, তার এমন মন্তব্য শুধুমাত্র সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার অভিপ্রায় ছাড়া আর কিছু নয়। এই অসত্য মানহানিকর, বিকৃত এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক ও প্রকৌশলী এই দুটি মহান পেশাজীবী সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন, ক্ষমা চাইবেন এবং বক্তব্যটি প্রত্যাহার করবেন।

কী বলেছিলেন মির্জা আযম?

মির্জা আযম এমপি নিজের নির্বাচনী এলাকা জামালপুরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তার বক্তব্যটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ওই অনুষ্ঠানে মির্জা আযম বলেন, ‘যারা মেট্রিকে ফাস্ট ডিভিশন পায় বা ভালো রেজাল্ট করে, সবচেয়ে ভালো ছেলে-মেয়ে তারা কোথায় যায় জানেন? তারা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) যায় আর দ্বিতীয় মেধাবীরা যায় মেডিকেলে। সবচেয়ে ব্রিলিয়্যান্ট ছাত্র-ছাত্রীরা হয় বুয়েটে যায়, না হয় মেডিকেলে যায়। বুয়েট থেকে যারা পাস করে, পাস করার পর চাকরি হয়। বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর বাবা-মাও কিন্তু আলোকিত বাবা মা। সম্মানি বাবা-মা ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তারের বাবা-মা। কিন্তু যখন চাকরিতে যোগদান করে প্রথমে পোস্টিং হয় কোথায় দেখা যায় রোডস এন্ড হাইওয়ে বিভাগে, কিংবা এলজিইডিতে কিংবা পিডব্লিউডিতে। এই যে চাকরিতে ঢুকল। ঢোকার পর দিন থেকে নিজের প্রথম বেতন নেওয়ার আগেই চুরির টাকা হাতে পায়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপি হয় প্রতি বছর। এই আড়াই লাখের ১৫ শতাংশ টাকা বাংলাদেশের ১২০০ ইঞ্জিনিয়াররা খায়। আড়াই লাখ টাকার ১৫% হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ১২০০ ইঞ্জিনিয়ার প্রতিবছর লুট করে খায়। এরা কারা? ওই সবচেয়ে ব্রিলিয়্যান্ট যারা। তাদের হার নির্দিষ্ট করা একটা বিল আনতে গেলে ৫ % ঘুষ দিতে হয়। যতদিন যাচ্ছে পরিমাণটা আরও বাড়ছে। এই হলো সনামধন্য ব্রিলিয়্যান্ট ছাত্র-ছাত্রীরা।’

এরপর মির্জা আযম চিকিৎসদের নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় চোর কারা জানেন? দ্বিতীয় শ্রেণির চোর হচ্ছে ডাক্তার। একজন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি হয়। মেডিকেলে ভর্তি হয় কারা? সেকেন্ড ব্রিলিয়্যান্ট যারা। তারা যখন মেডিকেলে ভর্তি হয় আল্লাহর কাছে বাবা-মা বলে, পোলা আমার সেবা করব। মৃত মানুষকে জীবত করবে। সোয়াবের আশায় মেডিকেলে ভর্তি হয় মেধাবীরা। ডাক্তার হওয়ার পর থেকে চাকরিতে পোষ্টিং হয় দেখা গেল মাদারগঞ্জে। সেখানে পোস্টিং থাকলেও ক্যামনে চাকরিটা না করে বেতন তুলব এই ধান্দায় থাকে। যারা ওখানেই চাকরি করে তারা কি করে? গরীব মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে হাসপাতালে। দেখা যায় ১০০ রোগী যদি থাকে সেই ১০০ রোগীর জন্য প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট বরাদ্দ আছে। সেই ১০০ রোগীর বরাদ্দ লুট করে খায়। রোগীদের বিছানাপাতি পরিস্কার করার জন্য একটা বরাদ্দ থাকব, সেই বরাদ্দ থেকেও চুরি করে মাসে একদিনও পরিস্কার না করে, সেই ধোলাই করার টাকা খেয়ে ফেলল। আর হাসপাতালের পরিবেশ দিতে থাকলে দেখা যাবে সবচেয়ে নোংরা। কোনো মানুষ যাতে হাসপাতলে না যায়। সরকার শত শত কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতালে। ডাক্তার-নার্স হাজার হাজার কোটি টাকা বেতন নেয়। কোনো মানুষ স্বাভাাবিক চিকিৎসা বা সেবা পায় না ওই হাসপাতাল থেকে।’

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে যদি যান দেখবেন বেডে রক্ত লেগে রয়েছে, কিংবা ওষুধ পড়ে রয়েছে। বসার মতো জায়গা নাই। প্রাইভেট ক্লিনিকে গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাক আর না যাক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়। নিজের বাবা অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে পরিস্কার বিছানা প্রত্যাশা করবে; কিন্তু জামালপুর সদর হাসপাতালে সেটা পাওয়া যায় না। অথচ সেই জায়গায় হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেগুলো লুটপাট করছে।’

মির্জা আযম বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্য খাতে বড় দুর্যোগ করোনা। করোনা আসার পর নিজেরা ১ কোটি টাকা খরচ করে জামালপুর সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব করেছি। সরকারের হাজার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ল্যাব চালাতে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা খরচ আছে সেই টাকাও আমরা চাঁদা তুলে দিচ্ছি নিজেরা। সরকার থেকে আসে না। এই হলো সরকারের সিস্টেম!’

এসএম/এসআইএইচ/এপি

Header Ad
Header Ad

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল আবারও উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। তবে এবার কোনো সিনেমা বা গ্ল্যামার নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি রহস্যজনক ইঙ্গিত নিয়েই সরব নেটিজেনরা। ৪৯ বছর বয়সেও তার স্টাইল ও সৌন্দর্যে মোহিত ভক্তরা, কিন্তু সম্প্রতি দুবাইতে ছুটি কাটাতে গিয়ে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা।

সবুজ মনোকিনিতে একটি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম হাতে, খোলা চুল, চোখে সানগ্লাস আর মাথায় স্টাইলিশ টুপি পরে ক্যামেরার দিকে পোজ দিয়েছেন আমিশা। সাধারণত এমন ছবিতে ভক্তরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বক্স। তবে এবার নজর কাড়ে তার পেট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, ছবিতে ‘বেবি বাম্প’ স্পষ্ট। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে— “তিনি কি অন্তঃসত্ত্বা?” কেউ লিখেছেন, “বিয়ের আগেই বেবি?” আবার কেউ লিখেছেন, “হে ভগবান, এটা কি সত্যি?”

 

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি আমিশা। তবে এর আগে ১৯ বছরের ছোট নির্বাণ বিড়লার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়। একটি ছবি ঘিরে তখনো নেটদুনিয়ায় বেশ আলোচনা হয়েছিল, যেখানে নির্বাণকে ‘ডার্লিং’ বলে সম্বোধন করেন আমিশা, আর নির্বাণও তেমনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বর্তমানে আমিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এটি নিছক গুজব, আলো ছড়ানো একটি ছবি, না কি সত্যিই জীবনের নতুন অধ্যায়—তা সময়ই বলে দেবে। তবে একথা নিশ্চিত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় থাকতে অভিনেত্রী ভালোই জানেন কীভাবে দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলতে হয়।

Header Ad
Header Ad

পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রদল কর্মী পারভেজের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন। কাঁদছে স্বজন ও গ্রামের মানুষ।

তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজন ও এলাকাবাসির। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে পারভেজের লাশ।

সন্তান হারানো শোকে আজোড়ে কাঁদছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা পারভীন আক্তার। বাবা জসিম উদ্দিন যেন শোকে পাথর। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে গ্রামের মানুষ।

মৃত্যুর আগের রাতে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় পারভেজের। শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেন ছেলের মুখ।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রোববার ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবা জসিম উদ্দিন।

মা পারভীন আক্তার বলেন, 'যারা আমার ছেলেরে মারছে তাদের আমার সামনে আনো। আমি জিগাইতাম কেরে আমার ছেলের মারছে।'

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, 'আমার আর বাইচ্চা থাইক্যা কি অইবো। আমার ছেলেই তো নাই। হাত-পা ভাইঙ্গা রাখতো, সারাজীবন পালতাম, খালি বাবা ডাকটা শুনতাম। যারা আমার ছেলে মারছে তাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই।'

বাবা বিদেশে থাকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন পারভেজ। কিন্তু সে বাড়িতে আর থাকা হলো না তার। ফিরেছে লাশ হয়ে। রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আসে গ্রামের বাড়ি ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। লাশ আসার পর সৃষ্টি হয় হৃদয় বিধারক পরিবেশ। পাগল প্রায় মা-বাবা-বোনের আহাজারিতে কান্নার রোল পড়ে।

পারভেজের মৃত্যুর খবরে ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় স্বজন, ও ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত পারভেজ ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানান স্বজন ও এলাকার মানুষেরা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত পারভেজের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানান স্থানীয়রা।

পারভেজের পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভেজের বাবা বিরুনীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। পারভেজ এলাকায় আসলে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ও মিছিলে সবসময় অগ্রভাগে থাকতো।

এদিকে ছাত্রদল কর্মী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে ভালুকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল ও স্থানীয়রা। এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। এ ঘটনায় আটজনের নামসহ অজ্ঞাত আসামি করে বনানি থানায় মামলা করেছে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ধারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইংল্যান্ডের ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ১৯ বছর বয়সী মাঝমাঠের খেলোয়াড় কিউবা মিচেল বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিউবাকে গতকাল একটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। আজ বিকেলে সেই ই-মেইলের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি আগ্রহী এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত আছেন।

জন্মসূত্রে ইংল্যান্ডের হলেও কিউবার মা বাংলাদেশের এবং বাবা জ্যামাইকান। ইতোমধ্যে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়েছিল বার্মিংহাম সিটির যুব দলে।

এর আগে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরির ফুটবলার সামিত সোমও বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়াধীন।

ডেনমার্কপ্রবাসী মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার পথ ধরে প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ দলে খেলার এই ধারা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী