বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাষ্ট্রপতির কাছে যে পরিকল্পনা তুলে ধরতে চায় দুদক

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে এবার গবেষণা ও উন্নয়ন সেল করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির প্রবণতা বুঝতে, ধরন শনাক্ত করতে এবং মোকাবিলায় নতুন উপায় বের করতে এ সেল বা ইউনিট গঠনে আগ্রহী সংস্থাটি। ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতির কাছে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চাওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। প্রতিবেদনে আগামীর নীতি ও পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হবে। তবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে নেওয়া কৌশলগত নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটাকে চ্যালেঞ্জও মনে করছে দুদক।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দুদক সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কৌশলগত পরিকল্পনায় বৃহৎ পরিসরে দুর্নীতি দমনের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক প্রয়াসকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চায় তারা। যে নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় সেগুলো হচ্ছে– প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত, কার্যকর প্রসিকিউশন, কার্যকর প্রতিরোধ ও গবেষণা কার্যক্রম এবং কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা।

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো: প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে দুদক। তারপরও তারা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি কিছু কর্মপরিকল্পনা পেশ করতে চায় রাষ্ট্রপতির কাছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– যুগোপযোগী একটি নতুন অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন, নতুন কর্মী নিয়োগ, উত্তম কাজের পুরস্কার হিসেবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত ও যথোপযুক্ত লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করা। যদিও ২০২৩ সালে কমিশনে বিভিন্ন পদে ১২৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এরপরও কিছু অনুমোদিত পদ শূন্য রয়েছে।

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ, দুদকের ডিজিটাল ফরেনসির ল্যাবের সক্ষমতা বাড়ানো, ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিংয়ের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করা, একটি ডেডিকেটেড প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য কোর্স (TOT) আয়োজন এবং দুর্নীতি দূরীকরণে দুদককে সহায়তাকারী অংশীদারদের সঙ্গে মতবিনিময়।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুদক ও জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দুদকের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় নৈতিকতা বিধি প্রণয়ন করে তা প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও নৈতিকতা বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চায় তারা।

অনুসন্ধান ও তদন্ত: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মৌলিক কার্যক্রমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্ত। এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে– সক্ষমতার অভাব এবং গতানুগতিক পদ্ধতির প্রয়োগ, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে। যে কারণে কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম নিশ্চিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চায় সংস্থাটি।

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় জনবল, লজিস্টিক এবং অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্তি এবং পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ এবং সততার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করতে চায় সংস্থাটি। মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রাসঙ্গিক আইন, বিধি, সার্কুলার এবং অফিস আদেশ অন্তর্ভুক্ত করে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য একটি যুগোপযোগী গাইডলাইন তৈরি করে সেটা অনুসরণ করা। অনুসন্ধান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তাদের তদারককারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা রাখা।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচারিক কার্যক্রম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য দুদক কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায় সংস্থাটি। এরজন্য মানসম্পন্ন ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন এবং ডিটেনশন সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখা।

কার্যকর প্রসিকিউশন: দায়ের করা দুর্নীতি মামলার বিচার ও তদারকি করা যে কোনও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। তবে এসব মামলার বিচারে কার্যকর সহায়তা দেওয়ার জন্য বর্তমানে কমিশনে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল ও লজিস্টিক নেই। সেজন্য লজিস্টিক এবং অন্যান্য সুবিধাসহ প্রসিকিউশন ইউনিটের জন্য অর্গানোগ্রামে জনবল রেখে সেই অনুযায়ী দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রসিকিউটরদের দুদক চাকরি বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী নিয়োগ দিতে চায় দুদক। এছাড়া প্রসিকিউটর এবং তাদের তত্বাবধায়কদের জন্য গাইডলাইন তৈরি করে প্রসিকিউটর এবং তত্ত্বাবধায়কের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়।

প্রতিরোধ ও গবেষণা কার্যক্রম: জনগণের সক্রিয় সমর্থন বা অংশগ্রহণ ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী কোনও উদ্যোগই সফল হতে পারে না বলে মনে করে দুদক। দুর্নীতির প্রবণতা বোঝা, দুর্নীতির রূপ শনাক্ত ও মোকাবিলায় নতুন উপায় বের করে সেটার মাত্রা মূল্যায়নের জন্য গবেষণা জরুরি বলে মনে করে সংস্থাটি। তাই কমিশনের নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে তুলে ধরবে দুদক, যেটা অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রচেষ্টাগুলোর সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

দুর্নীতি দমনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুদকের সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি বছরই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয় দুদক। এবছরও নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও কার্যকর করা কতটুকু সম্ভব? জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন, বাৎসরিক পরিকল্পনা ওই বছরই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সততা স্টোরের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাবছরই কাজ করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে নানা কারণে ব্যতিক্রম হয়।  সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি জন্মসনদ পাচ্ছেন কানাডিয়ান তারকা সামিত সোম, মাঠে অভিষেক জুনে!

সামিত সোম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে আরেক প্রবাসী বংশোদ্ভূত ফুটবলারের অভিষেকের সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। কানাডিয়ান জাতীয় দলের হয়ে খেলা মিডফিল্ডার সামিত সোম এখন লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামতে আগ্রহী। তার এই আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

হৃদয়ে বাংলাদেশের টান থেকেই জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সামিত। তার এই ইচ্ছার পরই বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে ফেডারেশন। এরই অংশ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল তার জন্মসনদের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই তৈরি হয়ে যাবে তার জন্মসনদ।

বাফুফের একটি সূত্র জানিয়েছে, সামনের ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে সামিতকে দলে দেখতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যেই চলছে দৌড়ঝাঁপ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতাও শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জন্মসনদ হাতে পেলেই শুরু হবে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে কানাডায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করেছে বাফুফে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও জানিয়েছে, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বায়োমেট্রিক দিতে হলেও শুধু পরিচয় দিলেই কাজ হয়ে যাবে। আমাদের দূতাবাস এ বিষয়ে সাপোর্ট করবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, প্রয়োজনে তারা আরও সক্রিয়ভাবে সহায়তা দেবে।

এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে আনার ক্ষেত্রে একটি বড় ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। তবে এখনো প্রোপার স্কাউটিং সিস্টেমের অভাব থাকায় অনেক প্রতিভাবান প্রবাসী ক্রীড়াবিদ অনন্বেষিতই থেকে যাচ্ছেন। এ জায়গায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছে ক্রীড়ামহল।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় আলোচিত আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও দুবাইয়ে পলাতক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান ও সারোয়ার হোসেন। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত দুই কিশোরী- মেহেরুন নেছা স্বর্ণ ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফী এবং ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশা জামিনে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে রবিউল ও সুরাইয়া পলাতক, অপর কিশোরী দুজন জামিনে এবং বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান খুন হন। ঘটনার দুই দিন পর, ৯ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার কার্যক্রমে মোট ২৬ জন সাক্ষ্য দেন আদালতে।

আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছরের আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটল।

Header Ad
Header Ad

সাকিবের নির্বাচন কভারের ছবি ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নির্বাচনী প্রচারকালীন সময় সাকিবের কার্যক্রম কভার করেছিলেন তখনকার এএফপি বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম। সেই সময় তোলা একটি ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যা ফলাও করে প্রচার করছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সাবেক আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

ছবিটি ভাইরাল হওয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালনকারী শফিকুল আলম নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এক পোস্টে তিনি জানান, “আমি জানি ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ যুগের ১৬ বছরে আমি কী করেছি। ফেসবুকে আমার যেকোনো ছবি ও মন্তব্য খুঁজে পেতে আপনাকে স্বাগত জানাই। এটি আমার স্মৃতি তাজা করতে এবং ভবিষ্যতে একটি বই লেখার অনুপ্রেরণা দেবে।”

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, সাকিব আল হাসানের প্রচারণা কভার করার জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাগুরা সফর করেছিলেন তিনি। প্রচারণাকালে সাকিবকে অনুসরণ করা, ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা এবং ছবি তোলাই ছিল তার দায়িত্বের অংশ। তিনি উল্লেখ করেন, সাকিবের পোস্টার সর্বত্র ছিল—চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়ে, এমনকি প্রতিটি দেয়ালেও। বিরোধী দলের—বিশেষ করে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির—কিছু পোস্টারও দেখা গিয়েছিল, যা সেই নির্বাচনকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা ছিল।

শফিকুল আরও বলেন, “২০১১ সাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আছি। হাজার হাজার ছবি তুলেছি, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বহু চরিত্রের সঙ্গে আমার ছবি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভাইরাল হয়েছে, যেমন গত বছর মুজিব জাদুঘরে তোলা একটি পেঙ্গুইন জ্যাকেট পরা ছবি।” তিনি সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাকে জনসাধারণের শত্রু নম্বর ওয়ান বানানোর চেষ্টাও করা হয়েছে।”

এছাড়াও তিনি আরও একটি দীর্ঘ পোস্টে সাকিবের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সাকিবের আওয়ামী লীগে যোগদান শুধু একটি ভুল নয়, বরং এটি বিশ্বাসঘাতকতা ছিল।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, একজন নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অধিকার থাকলেও, যে সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, জোরপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি, এমনকি ব্যাংক ডাকাতির মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল—সে সময়ে সাকিবের ওই সিদ্ধান্ত একটি শাসনব্যবস্থার প্রতি নীরব সমর্থন হিসেবে পরিগণিত হয়।

পোস্টের শেষে প্রেস সচিব লেখেন, “আপনারা আমার ছবি খুঁজে বের করে যা করছেন, তা আমাকে আমার অতীত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একদিন সেই অভিজ্ঞতাগুলো দিয়েই হয়তো একটি বই লিখব।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি জন্মসনদ পাচ্ছেন কানাডিয়ান তারকা সামিত সোম, মাঠে অভিষেক জুনে!
পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় আলোচিত আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাকিবের নির্বাচন কভারের ছবি ভাইরাল, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
ঋণ পরিশোধে সময় দিল রাশিয়া, ১৬ কোটি ডলার জরিমানা মওকুফ
হার্ভার্ড একটি তামাশার জায়গা, এটি ঘৃণা ও মূর্খতা শেখায়: ট্রাম্প
ঢাকা মহানগর আ.লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে ধানক্ষেতে মিললো প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ
রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে আর্সেনাল
প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলম গ্রেপ্তার
আমি বাংলাদেশি না, আমাকে বাংলাদেশি বলবেন না : টিউলিপ সিদ্দিক
‘মিশন কমপ্লিট’ স্ট্যাটাস দেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জন পুলিশ হেফাজতে
টেকনাফ স্থলবন্দরে তিন মাস ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জন অপহরণের অভিযোগ
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বেনাপোল দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি বন্ধ
টাঙ্গাইলে পহেলা বৈশাখের দিন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, অভিযুক্ত প্রেমিক কারাগারে
ভারতের মন্দিরে গোপনে তরুণীর ছবি তুলে তোপের মুখে মধ্যবয়সী ব্যক্তি
চিকিৎসা শপিং ও ভ্রমণে বাংলাদেশিদের পছন্দ এখন থাইল্যান্ড
ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবেন: আব্দুস সালাম পিন্টু
পাকিস্তানের আরশাদ খানকে স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিল বিসিবি