আমরা সত্য দিয়ে অসত্য মোকাবিলা করতে চাই : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৩ সালের মে মাসে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ভুল তথ্য আছে এবং সেখানে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই। তিনি আরও বলেছেন, আমরা সত্য দিয়ে অসত্য মোকাবিলা করতে চাই।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর প্রতিবেদন ও র্যাংকিং নিয়ে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একই সঙ্গে সরকার দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফের মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি। বাংলাদেশ সম্পর্কিত মূল্যায়ন পুনঃমূল্যায়ন করতে আরএসএফের সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টোফ ডেলোয়ারকে গতকাল (রোববার) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সার্বিক বিবেচনায় আরএসএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং বাস্তবতাবহির্ভূত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আরএসএফ তাদের র্যাংকিং মূল্যায়ন করবে বলে সরকার প্রত্যাশা করে। তাহলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় স্বাধীনতার বিষয়ে প্রকৃত অবস্থান ও চিত্র ফুটে উঠবে।
আরাফাত বলেন, এ প্রতিবেদন ও র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য বর্তমান সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফের মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি বলে সরকার মনে করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা র্যাংকিংয়ে আরও উপরে উঠতে চাই স্বাভাবিকভাবে। যাতে কেউ এগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার বা অপব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ না পায়, এটি হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।
এই প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে। এই প্রতিবেদনে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেনি জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এগুলো নিয়ে কোন পলিটিক্যাল বক্তব্যে যাব না, সরকারিভাবে ধরবো। তথ্য দিয়ে ধরবো, আমরা গোড়ায় ধরবো, শিকড়ে ধরবো। এগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা না হলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। অসত্য, ভুল এবং মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না। যেটা সত্য সেটা দিয়ে, আমরা অসত্যকে চ্যালেঞ্জ করব।
আরাফাত বলেন, এই ধরনের প্রতিবেদনে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে এমন কিছু যদি থাকে, যেটি সত্য এবং আমাদের বিপক্ষে সমালোচনা আছে সেগুলোকে আমরা স্বাগত জানাব। নিজেদের শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। সেখানে কোনো সমস্যা বা প্রতিবাদ থাকবে না। প্রতিবাদ থাকবে শুধু অসত্য, অর্ধসত্য এবং ভুল তথ্য এবং বাস্তবতার প্রতিফলন না ঘটিয়ে কোনো ধরনের নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং যেখানে হবে। আমরা বুদ্ধিভিত্তিক জায়গা থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো অসৎ যা কিছু হবে সেগুলোকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে থাকব।