মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসি গঠন আইন নিয়ে যা বললেন আইন প্রণেতারা

পাস হলো বহুল প্রতীক্ষিত 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২'। এই আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে আখ্যায়িত করেছেন আইন প্রণেতারা বা সংসদ সদস্যরা। তাদের দাবি, আইনটি পাস করার আগে সংবিধানে ৪৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইনে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না বলেও মত দেন আইন প্রণেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন-২০২২, পাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আইনটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দেন বিরোধীদলীয় একাধিক সংসদ সদস্য। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব উত্থাপনকারী প্রত্যেক সদস্য কথা বলার সুযোগ পান। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েই আইন প্রণেতারা এই আইনের তুমুল বিরোধীতা করেন। যদিও আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে সকলের কথার জবাব দিয়ে জনমত ও বাছাই কমিটির প্রস্তাব নাকোচ করে দেন। পরে স্পিকার জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা নাকোচ হয়ে যায়। এরপর আইনটি পাসের প্রক্রিয়ায় যান আইনমন্ত্রী। পরে সংশোধনী আকারে বিলটি সর্বাধিক কণ্ঠভোটে পাস হয়।

জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দিয়ে আলোচনা করেন, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, দলটির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, পীর ফজলুর রহমান, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, গণফোরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, বেগম রওশন আরা মান্নান ও রুমিন ফারহানা। নিচে সকলের আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো।

মোকাব্বির খান বলেন, 'দেশবাসীর প্রত্যশা ছিল সংবিধানের আলোকে এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে যেখানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত দলগুলাকে ডেকেছিলেন, আমরা সেখানে ১৭ কোটি মানুষের আকাঙ্খা আলোকে দাবি উত্থাপন করেছিলাম। আমরা মনে করেছিলাম রাষ্ট্রপতি এবার হয়তো ব্যাতিক্রম কিছু করবেন। কিন্তু যারা সংলাপে গিয়েছিলেন তারা এই ধরনের আইন চান নাই। মানুষ তার আকাঙ্খা প্রত্যাশা থেকে বঞ্চিত হবে।'

মুজিবুল হক বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম বিলটা গণতান্ত্রিকভাবে আসুক। এই বিল আনার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন শতভাগ আমলা নির্ভর। এখনও যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতেও বিচারপতি। দেশে কি বিচারপতি আর আমলা ছাড়া বিশ্বাস করার মতো মানুষ নাই? রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কি বিশ্বাস করেন না? স্পিকারকে বিশ্বাস করেন না? সংসদ সদস্যদের কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়? শ্রীলঙ্কায় সাংবিধানিক পদের লোকগুলো সাংবিধানিক কাউন্সিল করে নিয়োগ করতে পারে। নেপালেও একই অবস্থা। কেন আমরা না। আপনাদের তো ক্যান্টনমেন্টে জন্ম হয় নাই। দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনারা কেন বিচারপতি আর আমলাদের উপর নির্ভর করবেন? এই বিলের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি রাখেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক যে দুই জন সেখানে, আমরা নিশ্চিত কোনো আমলাই দেওয়া হবে। সেই দুইজনের নিয়োগের ভার রাষ্ট্রপতির হাতে না দিয়ে স্পিকারকে দায়িত্ব দেন। আর সংসদের দুইজন সদস্যকে যেন রাখা হয়। তাতে কিছুটা হলেও আমরা বলতে পারব আমাদের অংশগ্রহণ আছে। সংসদ হচ্ছে সকল কর্মকাণ্ডের মূল। আর সেই সংসদের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না এটা খুবই দুঃখজনক।'

ফখরুল ইমাম বলেন, 'সংবিধানের ৪৮(৩) ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে রাষ্ট্রপতি মাত্র দুইজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে পারেন। একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী আর একজন হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। এখন আসছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কে নিয়োগ করবে? সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে আইন তৈরি করবেন। কিন্তু ওখানে বলেন নাই সংবিধানের ৪৮(৩) ধারা অতিক্রম করে আইন তৈরি করবেন। আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এটা অনেক সময় লাগবে, তখন বিষয়টি অনুধাবন করেই বলেছিলেন। সময় লাগবে কেন? কারণ সংবিধানকে সংশোধন করতে হবে। সংবিধানকে সংশোধন না করে ৪৮(৩) কে পাশ কাটিয়ে কোনো আইন তৈরি করা যাবে না। যদি আইন তৈরি করা হয় তাহলে এটা সংঘর্ষিক হবে সংবিধানের সঙ্গে।'

তিনি বলেন, 'আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি কণ্ঠভোটে পাস করিয়ে দেন তাহলে এটা সব থেকে বাজে উদাহরণ হবে।'

রুমিন ফারহানা বলেন, '১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সকল অংশীজনের মতামত ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাস করা আই ওয়াশের বেশি কিছু নয়। এই আইন যে শুধু বিএনপি বা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রত্যাখান করেছে তাই নয়, সুশিল সমাজ আইনজ্ঞ সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই এটির কঠোর সমালোচনা করেছে। খসড়া আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। তাই অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আইন বললেই ওত্যুক্তি হয় না। এই কমিটিতে সরকারি দল সংসদের প্রধান বিরোধী দল, তৃতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ দল থেকে একজন করে প্রতিনিধি যদি থাকত তাহলে স্বচ্ছতা থাকত। এখনকার মতো সেটিও কোনো স্বাধীন কমিশন হবে না হবে সরকারের নির্বাচন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিয়োগটি দিন শেষে হবে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে। কমিশন গঠন করছেন নাকি সরকারের পছন্দের লোকদের বসাচ্ছেন স্পষ্ট নয়। সুতরাং সার্চ কমিটি গঠন থেকে কমিশন গঠন পর্যন্ত পুরোটাই অস্পষ্ট।'

হারুনুর রশীদ বলেন, 'আইনের ব্যাপারে জনগণের ধারণা একেবারে সুস্পষ্ট যে, সরকার আইন প্রণয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে। কোনো সন্দেহ নাই যে, আইনটির সঙ্গে ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন তার সঙ্গে খুব একটা অমিল নাই। আইন প্রণয়ন হয় জনগণের কল্যাণের জন্য মানুষের সুবিধার জন্য কিন্তু যদি সেই আইন মানুষের কল্যাণের চাইতে অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে যদি সে আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান যদি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় যদি সেই আইন মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়। আইন যদি জনকল্যাণে না হয়, জনগণের কাছে যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে সেটি করার চাইতে না করাই ভালো।'

তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না। অবশ্যই আইনটি ৪৮(৩) এর সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানদের প্রধানদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যক্তিগুলো সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য করাই একেবারে দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সংবিধান প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করবেন। জনগণ হতাশ, জনগণ এটি চায় না। জনগণের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার অবশ্যই হতে হবে একটি তত্ত্ববধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

রওশন আরা মান্নান বলেন, 'সংবিধানে সুস্পষ্ট অনুচ্ছেদের আইন করার উদ্যোগ নেয়নি। তাড়াতাড়ি এই আইন পাস করা ঠিক হবে না। তাহলে আবারও দেশে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হবে।'

শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, 'ওয়েস্ট মিনিস্টার ফার্ম অব গভর্নমেন্ট যেখানে প্রধানমন্ত্রী সর্বময়। তিনি সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন নারীকে পুরুষ বানানো ছাড়া আর পুরুষকে নারী বানানো ছাড়া। যদি সেটা মেনে নিয়ে এই আইন করে তাহলে ঠিক আছে। তবে রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন আনলাম, রাষ্ট্রপতি শব্দটা কেন দিলাম। আর যদি প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার একটা অংশ রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে দেবেন যেটা সংবিধানের ৪৮(৩) এ দুটি ক্ষমতা দেওয়া আছে। তার সাথে আর একটি ক্ষমতা দেবেন তাহলে সেটি স্পষ্ট করে বলতে হবে অর্থাৎ অনুচ্ছেদ (৪৮), (৯৫) এবং (৫৬) এর রেফান্সে আছে, তার সাথে ১১৮ যুক্ত করতে হবে। সংবিধান সংশোধন না করে এই করা অসাংবিধানিক হবে।'

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'অনেক আইন বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, ১৫ পৃষ্ঠার আইন মাত্র ১৫ মিনিট লাগল করতে। এখন আনার পর এত তাড়াহুড়া করে আনা হলো একথা ঠিক না। আইন করে কিছু হবে না, যতদিন পর্যন্ত একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা না স্থাপন করতে পারব, ততদিন পর্যন্ত আইন করে কিছু হবে না। জাতীয় পার্টির আগাগোড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে।'

রেজাউল করিম বাবলু বলেন, 'মানুষের জন্য আইন হয়, আইনের জন্য মানুষ নয়। এই আইনটা বাস্তবায়ন করার পূর্বে অবশ্যই সংবিধান সংশোধন করা অতিব জরুরি ছিল। সংবিধান সংশোধন না করে আইন করায় আজীবন প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে।'

পীর ফজলুর রহমান বলেন, '৯ ধারা যুক্ত করে অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি না আনলেই পারতেন। এই সংসদে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ রয়েছে। তারপরও অনেকের আগ্রহ রয়েছে আরও আলোচনা করলে আরও সমৃদ্ধ হতো। সংবিধানের (৪৮) অনুচ্ছেদ পরামর্শের বিষয়টা সাংঘর্ষিক কি-না বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আসলে নির্বাচনের কোনো পদ্ধতিই এখন পর্যন্ত সার্বজনীন সত্যতে পরিণত হয় নাই।'

এসএম/টিটি

Header Ad
Header Ad

বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতাসহ আরও ২ জন গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন- ঢাকার আশুলিয়ার ধানশোনা এলাকার পলাশবাড়ীর আলমগীর (৩৪) ও তার ছোট ভাই রাজিব হোসেন (২১)। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫ জন গ্রেফতার হলো।

জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আলমগীর হোসেনকে গতকাল সোমবার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সাধুরপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ‘মূলহোতা’।

এর আগে এই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী গতকাল সোমবার দুপুরে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে বাস ডাকাতির সময় লুট করা নগদ ৪ হাজার ২১০ টাকা ও দুইটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার আলমগীর পুলিশকে জানান, বাসে ডাকাতির সময় লুট করা মুঠোফোন, গয়না ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি তার ছোট ভাই রাজিবের কাছে রয়েছে। পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় আলমগীরকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে রাজিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতি করা ১০টি মুঠোফোন, ইমিটেশনের গয়না, তিনটি ব্যাগ, তিনজন যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরকে ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। আরও বলেন, ডাকাতিকালে ধর্ষণের ঘটনার কোনো তথ্য এখনো তাদের কাছে আসেনি। তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি (ময়মনসিংহ-ব-১১-০০৬১) চলন্তবাসে ডাকাতি ও নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে মির্জাপুর থানা থেকে টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। পরে তাকে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত হতে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে ১৬৮ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ভেঙে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। র‍্যাপিড রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অজুহাতে মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মুসলিম মিরর।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মসজিদটি ভাঙার আগে স্থানীয় মুসলিমদের তীব্র প্রতিবাদে বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন। তবে পরে ব্যাপক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে গভীর রাতে মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মতিতেই রেল প্রকল্পের জন্য মসজিদটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মসজিদের মুতাওয়াল্লি হাজি সালেহিন জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছিল, তবে মসজিদটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা এটি ভাঙতে পুরোপুরি সম্মত ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, "যোগী সরকারের চাপে পড়ে অবশেষে নতুন জায়গায় মসজিদ নির্মাণের শর্তে আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হই। আমাদের কাছে এখনো মসজিদ ও জায়গার মালিকানার দলিল রয়েছে, যেখানে প্রমাণ রয়েছে যে এটি ১৮৫৭ সালের আগেই নির্মিত হয়েছিল।"

Header Ad
Header Ad

সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমি মনে করেছি সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি। আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি, সব কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। ছবি: সংগৃহীত


নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতেই পদত্যাগ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন। ছাত্র-জনতার পাশে থাকা প্রয়োজন। সরকারের থেকে রাজপথে আমার ভূমিকা এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছি।

পদত্যাগ পত্র। ছবি: সংগৃহীত

এরআগে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে দায়িত্ব নিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সেদিন বেলা তিনটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতাসহ আরও ২ জন গ্রেফতার
ভারতে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার
সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ
নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ
ফুটবল থেকে রাজনীতির মাঠে ওজিল, যোগ দিলেন তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলে
ব্যান্ডউইথ সেবায় ভারত নির্ভরতা কমছে, সাশ্রয় ৬০ কোটি টাকা
তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক