প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, প্রতীক বরাদ্দ আগামীকাল
নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রবিবার। অফিস চলাকালে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করে প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে।
আগামীকাল সোমবার প্রার্থীদের নামে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। আজকের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে। কোনও দল তার দলীয় প্রতীক জোটভুক্ত দলের কোনও প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলেও তা এ সময়ের মধ্যেই করতে হবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। আর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। দুটি মিলিয়ে মোট ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
তিনি বলেন, ছয় দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর হয়েছে, দু'টি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে আপিল নিষ্পত্তি হওয়া প্রার্থীদের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া শুরু হয়েছে। কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ ও বরিশাল-৫ আসনের সাদিক আব্দুল্লাহর আইনজীবী এর মধ্যে সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাড়া সব সরঞ্জাম মাঠ পর্যায়ে পাঠানো শেষ করেছে ইসি। সর্বশেষ গতকাল ৯ ধরনের সরঞ্জাম সারা দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের ফরম ও প্যাকেট, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা এবং গাড়ির স্টিকার পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশিসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শুরু হবে, যা ভোটগ্রহণের আগের দিন ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।