গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে কি না সে বিষয়ে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিদ্যুতের পাইকারি দর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। এ ছাড়া ৬ টি বিতরণ কোম্পানিও গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
বিতরণ কোম্পানিগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছে তার আরও বিস্তারিত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পেট্রোবাংলা সেসব নথি সরবরাহ করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আইন অনুযায়ী, যদি বিইআরসি প্রস্তাবগুলো আমলে নেয়, তাহলে গণশুনানিতে দাম নির্ধারিত হবে। আবেদনকারী কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারলে ৯০ কাযদিবসের মধ্যে নতুন দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি।
বিতরণ কোম্পানিগুলো আবাসিকে দুই চুলায় ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা ও এক চুলায় ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে করেছে।
আবাসিকে প্রিপেইড মিটার, শিল্প, সিএনজি, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ) ব্যবহৃত গ্যাসের দামও দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
সারাদেশে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ অর্থাৎ ২৩০ কোটি ঘনফুট আসে নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হয় মোট সরবরাহের ১৭ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক খোলাবাজার থেকে কেনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ৫ শতাংশ গ্যাস দুই মাস ধরে কেনা বন্ধ আছে। মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাসের বাড়তি দামের নামে দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আরইউ/এমএমএ/
