কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে ঢাকা-টোকিও
অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ ও জাপান।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও জাপান এ বছর দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এই ঐতিহাসিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও জাপান দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে ঢাকা ও টোকিওতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উদযাপন অনুষ্ঠান ও অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং প্রমাণিত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাপানের অটল সমর্থনের পাশাপাশি জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন।
উভয় পক্ষই ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপানে ঐতিহাসিক সরকারি সফরের কথা স্মরণ করে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের একটি স্মারক বই প্রকাশ করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে তাদের পৈত্রিক বাড়িতে প্রত্যাবাসন এবং কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে তাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জাপান সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এবং রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে মিয়ানমারকে রাজি করাতে তার প্রভাব ব্যবহার করার জন্য জাপানের প্রতি আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অবদানের প্রশংসা করেন এবং আরও জাপানি বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। জাপানি রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন যে জাপানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা আগামী বছরের শুরু থেকে নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের কারখানা স্থাপন করবে। তিনি বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে শুল্ক ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সহজ করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
আরইউ/এএস