সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি

১৮ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটপ্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন কমিশন অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, এটিই আমরা বুঝি। তার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি) ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যা মনে করেছেন, আমি মনে করি তা যথার্থই মনে করেছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে যাতে নির্বাচনটি হয়, আমার মনে হয় সেজন্যই তিনি নির্দেশনাটি দিয়েছেন। সঠিক, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন হতে দেওয়ার জন্য তিনি (সিইসি) যা যা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো করবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়। চিঠিতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে।

১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারেন, এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।

এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য সব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি

ছবি: সংগৃহীত

চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন (CNOOC) জানিয়েছে, তারা পূর্ব দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই খনিতে ১০ কোটি টনেরও বেশি অপরিশোধিত তেলের মজুদ রয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, নতুন আবিষ্কৃত হুইঝো ১৯-৬ তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সিএনওওসি জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক খনন থেকে প্রতিদিন ৪১৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৬৮ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ঝোউ সিনহুয়াই এই আবিষ্কারকে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমায় ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “সিএনওওসি পরপর দুই বছর ১০০ মিলিয়ন টনের বেশি মজুদের তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে, যা চীনের অফশোর তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ক্রমাগত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।”

মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল পরিমাণে তেল ও গ্যাস মজুদ রয়েছে। তবে অঞ্চলটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রই এখনো অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে, তবে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই এই দাবির বিরোধিতা করে আসছে। ফলে নতুন এই তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের পর ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

মার্কিন সরকারের এক বিশ্লেষণ অনুসারে, চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর দেশটি প্রতিদিন ১ কোটি ১১ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।

সিএনওওসির প্রধান ভূতাত্ত্বিক জু চাংগুই এই আবিষ্কারকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি চীনের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সূত্র: সিনহুয়া ও রয়টার্স

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ঢাকার ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এই আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারও মানুষ, যা আরও বর্ণিল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

মিছিলটি সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠের সামনে থেকে শুরু হয় এবং খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ঈদের জামাত শেষ হতেই মিছিলের মধ্যে বাজতে থাকে ব্যান্ডপার্টির সুর, আর গাওয়া হয় ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে’। মিছিলে ছিল সুসজ্জিত পাঁচটি শাহী ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, এবং ব্যান্ডপার্টি ও বাদ্যযন্ত্র। এছাড়াও, সুলতানি-মুঘল আমলের ইতিহাসচিত্র সম্বলিত পাপেট শো ছিল, যা অংশগ্রহণকারীদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারীদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ানো হয় এবং একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, "আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনা। এই ঈদ আনন্দ মিছিল তারই একটি অংশ। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।"

এদিকে, ঈদের এই আনন্দ আয়োজনের নিরাপত্তার জন্য পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর হলে ঈদের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯