র্যাবের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগের কাজ শুরু হবে।
এপ্রিল মাসে সিকিউরিটি ডায়ালগ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস র্যাবের মতো একটি অত্যন্ত ভালো প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে। প্রসেস কালকে হবে না। সময় লাগবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে বিএনপি–জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আটটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে। তবে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচারে পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে গত রবিবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক। এর প্রেক্ষাপটে আজ জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আগামী মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্টনারশিপ ডায়ালগের কাজ শুরু হবে। এপ্রিল মাসে সিকিউরিটি ডায়ালগ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমেরিকানদের সঙ্গে একাধিক মিটিংয়ের আয়োজন করেছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা যখনই তথ্যগুলো সঠিকভাবে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারব, আমার বিশ্বাস র্যাবের মতো একটি অত্যন্ত ভালো প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা উইথড্র করবে। প্রসেস কালকে হবে না। সময় লাগবে। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব আলোচনা ছাড়াই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের অপপ্রচারের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তারা আমেরিকার সরকারের কাছে কেবল মিথ্যা তথ্য কিংবা অসত্য ঘটনাই প্রকাশ করেনি, সেই সঙ্গে পৃথিবীতে বড় বড় যেসব মানবাধিকার সংস্থা আছে, তাদেরও প্রতিনিয়ত ফিডব্যাক করছে যে র্যাব খুব খারাপ প্রতিষ্ঠান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। তারা দুর্নীতিমুক্ত হয়ে মানুষের সেবা করে। দেশে সন্ত্রাস, মাদক বন্ধ করেছে। মানব পাচার মোটামুটিভাবে বন্ধ করেছে। এই বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু লোকজন বিভিন্ন রকমের মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, র্যাব এমন বাজে কাজ করেনি যে তার জন্য তারা পৃথিবীর টেররিস্ট অর্গানাইজেশন হিসেবে বিবেচিত হবে। বরং টেররিস্টের বিরুদ্ধে তাদের কাজ। র্যাবের কারণেই হোলি আর্টিজানের পর থেকে স্বয়ং আমেরিকার স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বলেছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা কমেছে। হোলি আর্টিজানের পরে আর কোনো লোক সন্ত্রাসবাদে মারা যায়নি। বাংলাদেশ এ রকম দেশ, যেখানে খুব উত্তপ্ত ছিল, সেখানে সন্ত্রাসী তৎপরতা কমেছে।
এসএম/