মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলার অধিকার রাখে না যুক্তরাষ্ট্র’

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র‌্যাবের ৭জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাইডেন এর গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো বেশ উল্লসিত।

এ ব্যাপারে সরকারের মূল্যায়ন এবং এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে হয় আমরা যেন অপরাধী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে সব ঠিক হয়ে যাবে, সামনের গণতন্ত্র সম্মেলনে আমাদের ডাকা হবে এ ধরনের মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের মুখ থেকে আমরা শুনেছি। ফলে মনে হয় এই নিয়ে সরকারের মধ্যে নিশ্চয়ই কোন অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে, এটা তারই ইঙ্গিত দেয়।

মার্কিন মুল্লুক নিজের দেশের অভ্যন্তরে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে দাবি করে ওয়াকার্স পাটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় পাকিস্তানিদের পক্ষে দাড়িয়েছিল। তাদের অস্ত্র অর্থ সহায়তা করেছিল। অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি আটকাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিল। তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলার অধিকার রাখে না। বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে এই দেশের মানুষই কথা বলতে পারে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ব্যতিক্রমী নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে মানুষের মাঝে আস্থা ফিরে এসেছে। এটা দেখি দিয়েছে সরকাকে বহাল রেখেই এরকম ব্যতিক্রম নির্বাচন করা সম্ভব। প্রয়োজন সদিচ্ছা ও নির্বাচনী আইন এবং আচারণ বিধি মানা। অর্থ পেশা শক্তি ও প্রশাসনের ভূমিকা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরের সংবিধানের পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংসদ নেত্রীকে অনুরোধ আগামী অধিবেশনে যেন সংবিধান পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে দেন। যেখানে ধর্মীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আমরা নতুন করে ভাবতে পারব। তা ছাড়া ৭০ বিধির প্রশ্নে সংবিধানে সংশোধন অতি জরুরি বলেও মনে করেন মেনন।

তিনি বলেন, ‍বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরব কেবল নয়, সরকার উৎখাতের স্লোগান দিচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলার সময় তারা নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখে না। ২০০৬ সালে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার এবং নিজের লোককে প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য যে ষড়যন্ত্র তারা করেছিল তারই পরিণতে এদেশে আর একটি সেনা শাসন দেখতে হয়েছিল। আমি জানি না এবার তাদের লক্ষ্য কী, কী তাদের উদ্দেশ্য? সেটা খোলসা করে বলছে না। কিন্তু তাদের কার্যাবলিতে স্পষ্ট তারা একটা অস্বাভাবিক সরকার চায়।

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ, ধর্ম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার কথা তারা বলে না। তারা এটা বহাল রাখতে চায়। বাম দাবিদার বন্ধুরা নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বললেও তাদের মূল দাবি এখন নির্বাচনকালীন সরকার। ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য অর্থ পেশী শক্তি বিশেষ করে প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে আস্থার সম্পূর্ণ বিনষ্ট করেছে।’

নির্বাচন কমিশন আইন যেটা পাস হতে যাচ্ছে তা নিয়ে কথা বলেছেন মেনন। তিনি বলেছেন, আইনটি অসম্পূর্ণ। এটা সংশোধন করতে হবে। না হলে এই বিতর্ক অব্যাহত থাকবে। এ বছর সংবিধানের ৫০ বছর পূর্তি হবে। বঙ্গবন্ধু সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, তা সংসদীয় ব্যবস্থার অন্যতম শ্রেষ্ট সংবিধান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার আমলেই সংবিধানের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংশোধনী সংবিধানের মূল বিষয়টি পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন। সামরিক শাসকরা নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে আর পাকিস্তান আমলের রাজনীতি ফিরে আনতে ওই সংবিধানকে ভোঁতা ছুড়ি দিয়ে জবাই করেছিল। সংবিধানের দ্বাদশ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে সেই সংবিধানের ‍মূল চরিত্র কিছুটা ফিরিয়ে আনলেও এমন সব বিধি বর্তমান। যা সরকার পরিচালনায় প্রধান নির্বাহী একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সংবিধানকে ধর্মীয় রূপ দিয়েছে। বিএনপি দ্বাদশ সংশোধনীর সময় রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ভারসম্য বিধান নিয়ে প্রয়াত নেতা আব্দুস সামাদ এর নেতৃত্বে যে প্রস্তাব দিয়েছিল তারা সেটা তখন মানেনি।

সরকারের সমালোচনা করে বলেন, করোনাকালে ধনীর সংখ্যা বেড়ে গেল আবার দরিদ্র হলো আরও অনেক। বৈষম্য নিয়ে কোনো কথা নেই। বৈষম্য নিরসনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ দেখি নাই। বঙ্গবন্ধু যে সাম্য এবং সমতার কথা বলেছেন তা থেকে যোজন যোজন দূরে পিছিয়ে পড়েছি।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছিল কিন্তু টিআইবি’র প্রকাশিত দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নিচের দিক থেকে আফগানিস্তানের উপরে কেবল। এ জন্য নিশ্চয়ই লজ্জিত। এই সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ফুয়েল না দিলে ফাইল নড়ে না, এখন সেই ফুয়েলের দাম এবং দুর্নীতির ফুয়েলের দাম এতই বেড়েছে যে ফাইল নড়ানো মুশকিল হয়ে যায়।

মেনন বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় পাশের দেশ ভারত এবং নেপাল থেকে আমরা অনেক সফল, কিন্তু টিকা প্রদানে দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তানের উপরে মাত্র। টিকা সংগ্রহের জন্য আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল তার কোনো হিসাব পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে আমাদের টিকা দিয়েছেন। দেশীয় টিকা উৎপাদনে যে চুক্তি হয়েছিল তার কোনো ফলাফল দেখছি না। রাষ্ট্রপতি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরামর্শে উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। ফলে তাদের কুকর্মের দায় তার উপরে এসে পড়ে। উপাচার্যরা কি ধরনের স্বৈরাশাসক দুর্নীতিবাজ হয়ে ওঠেন চাকরি বাণিজ্য হয়ে উঠে তার উদাহরণ দেখেছি। বর্তমানে অনশনরত শিক্ষার্থীর বিপক্ষে শাহজালালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসিরা দল পাকিয়েছেন। একজন উপচার্যের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল । সেই র‌্যাব সম্পর্কে তারা আজ বদনাম দিচ্ছে। র‌্যাব সম্পর্কে তখনই বলেছিলাম যেন একটা নিপীড়ক বাহিনী হয়ে না ওঠে। তার জন্য কথা বলেছি, আওয়ামী লীগ বলেছে, ওয়াকার্স পার্টি বলেছে আমরা বলেছি। এখনও যখন এই সরকাররে আমলে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড গুমের ঘটনা ঘটছে তখন জোট শরীক ওয়াকার্স পার্টিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তার প্রতিবাদ করেছে এবং এখনও করছে। মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে মনে হয়। এই বিচার বর্হিভুত হত্যাকাণ্ড কোন যুক্তিতেই সমর্থনযোগ্য নয় তাকে বন্ধ করতে হবে।

 

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা ঘটিয়েছে। ফুল স্টপ…। এটা নিয়ে আর কোনো কথা হবে না। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের বক্তব্যে সাংবাদিকদের একথা বলেন সেনাপ্রধান।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কোনো সেনা সদস্য জড়িত নয়, যারা শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক নেতারা বা বাইরের কোনো শক্তি জড়িত কিনা তা খুঁজে বের করতে কমিশন করা হয়েছে। কমিশন তা তদন্ত করে বের করে আপনাদের জানাবেন। তবে মূল কথা হচ্ছে যেসব সেনা অফিসার বা সদস্য মারা গেছেন তাদের বিডিআরের সদস্যরাই গুলি করেছে।

সেনাপ্রধান বলেন, যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী হয়েছে তারা দোষী। এ নিয়ে অন্য কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ৭ মাসে অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। আমি চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে।

তিনি বলেন, আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র‍্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?

সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি না করে দিন শেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্য হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।

নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।

Header Ad
Header Ad

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

সেই সঙ্গে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘শহীদ পরিবারের সদস্যরা একান্ত প্রিয়জন হারানোর এতগুলো বছর পরেও স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও সকল নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে, একইসঙ্গে সেই আশাবাদ রাখছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই দিনে আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই জাতির সূর্য সন্তান, শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। একইসঙ্গে তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্ম-অহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও সকল শহীদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।’

Header Ad
Header Ad

অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অপরাধ দমনে দেশব্যাপী শুরু হওয়া অভিযান পরিচালনায় কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের গাফিলতি পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে গতরাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান। এ অভিযান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমরা কোনো বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের গাফিলতি পাই তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ অভিযান যেভাবে সাজিয়েছি, যদি কোনো জায়গায় আমার কোনো কর্মচারী বা আমার কোনো বাহিনীর সদস্যের মধ্যে গাফিলতি থাকে, আমি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

তিনি আরও বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে কাজ করছে।’

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্য সংবাদটা পরিবেশন করেন। দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কিনা। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্য সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এর আগে, জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাজধানীর বনানীতে সামরিক বাহিনী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশা, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার