আজ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ছবি: সংগৃহীত
গণতন্ত্রের মানসপুত্র ও অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আজ ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালের এই দিনে সুদূর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর ছোট ছেলে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তিনি ছিলেন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল হিসেবে আসে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। অন্যদিকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রভাব যে কতটা তা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটিতে স্পষ্ট।
সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার এক বিবৃতিতে মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।