রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নৌপথে রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে

ফাইল ছবি

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে নৌপথে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই অনিশ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-পথ পাড়ি দিতে তারা সঙ্গে নিচ্ছেন নিজেদের পরিবার ও শিশু সন্তানদের। ফলে রোহিঙ্গা শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের শরণার্থী শিবির ত্যাগের হারও বাড়ছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য আরাকান প্রোজেক্টের পরিচালক ক্রিস লিওয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নৌপথে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যখন নৌকাপথে যাত্রা শুরু হলো— সে সময় তরুণ পুরুষ যাত্রীদের হার বেশি ছিল।’

‘কিন্তু এখন রোহিঙ্গাদের মধ্যে স্ব-পরিবারে বাংলাদেশ ত্যাগের হার বাড়ছে। ফলে বিপজ্জনক এসব নৌযাত্রায় বাড়ছে রোহিঙ্গা শিশুদের হারও।’

সাধারণত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে টেকনাফ উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে রোহিঙ্গা যাত্রীবাহী নৌকাগুলো, মার্চ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। মার্চের পর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রের অশান্তভাব, ঝড়-বৃষ্টির কারণে বন্ধ থাকে নৌযাত্রা।

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, চলতি নভেম্বরে মোট ৩৬০ জন রোহিঙ্গা শিশু, ২৯২ জন নারী এবং ২৩৮ জন পুরুষ বাংলাদেশ থেকে নৌকায় প্রদেশটির বিভিন্ন সমুদ্রতীরে এসে পৌঁছেছেন।

রয়টার্সের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপকূল থেকে অক্টোবরের শেষ থেকে এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছে ৩৪ টি নৌকা। এসব নৌকার মোট ৩ হাজার ৫৭২ জন যাত্রীর ২১ শতাংশই ছিল শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক। ২০২২ সালে এই হার ছিল ২৭ শতাংশ।

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রয়টার্সকে বলেছেন, রোহিঙ্গা শিশুদের শরণার্থী শিবির ত্যাগ করে নৌ পথে যাত্রার প্রবণতা সম্প্রতি শুরু হয়েছে। আগে এমন ছিল না।

‘এই প্রবণতা আগে ছিল না, সম্প্রতি শুরু হয়েছে এবং এর পেছনে যৌক্তিক কারণও রয়েছে। যখন একটি গোটা জাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে; যখন তারা দেখতে পায় নিজেদের দেশে তাদের ফিরে যাওয়ার উপায় নেই এবং যে দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছে— সেখানকার স্থায়ী নাগরিক তারা হতে পারবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বোধ করে।’

তিনি জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আলোচনা শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাতে কোনো অগ্রগতি নেই।

‘তাদেরকে আরও বিপদে ফেলেছে জাতিসংঘের সহায়তা কাটছাঁট। বর্তমানে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে মাসে মাথাপিছু আট ডলার করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যা আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ।’

‘এই টাকায় এমনকি প্রতিদিন একটি করে ডিম কেনাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সামনে সহায়তা বৃদ্ধি কিংবা মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নেবে এমন কোনো সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তারা আর কী করতে পারে,’ রয়টার্সকে বলেন মিজানুর রহমান।

রয়টার্স

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু