গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে জরুরি বৈঠক কাল
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে কী না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে কাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি)। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিদ্যুতের পাইকারি দর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। এছাড়া ৬টি বিতরণ কোম্পানিও গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যদি মনে করা হয় দাম বাড়ানো প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে প্রস্তাবগুলো আমলে নেবে কমিশন। আর যদি মনে করা হয় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, সেক্ষেত্রে প্রস্তাবগুলো ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে আপাতত আর দাম বাড়বে না।
আইন অনুযায়ী, যদি বিইআরসি প্রস্তাবগুলো আমলে নেয়, তাহলে গণশুনানিতে দাম নির্ধারিত হবে। আবেদনকারী কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারলে ৯০ কাযদিবসের মধ্যে নতুন দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি।
৩ জানুয়ারি পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ভর্তুকির চাপ সামলাতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় তারা।
এর ফলে ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি অভিন্ন প্রস্তাব তৈরি করে। আবাসিকে দুই চুলায় ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০০ টাকা ও এক চুলায় ৯২৫ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে কোম্পানিগুলো।
আবাসিকে প্রিপেইড মিটার, শিল্প, সিএনজি, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ) ব্যবহৃত গ্যাসের দামও দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দেয় কোম্পানিগুলো।
সারাদেশে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ অর্থাৎ ২৩০ কোটি ঘনফুট আসে নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্র থেকে।
কাতার এবং ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হয় মোট সরবরাহের ১৭ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক খোলাবাজার থেকে কেনা হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ৫ শতাংশ গ্যাস দুই মাস ধরে কেনা বন্ধ আছে। মাত্র ৫ শতাংশ গ্যাসের বাড়তি দামের নামে দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নাই।
আরইউ/