বাণিজ্য মেলা বন্ধে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ

অমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এসব সুপারিশ সরকারকে পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি বলেন, “শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, এটার বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে।
“কিন্তু বাণিজ্যমেলা চলছে, যা খোলা রাখা উচিত না। এখন এইগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এজন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
ওমিক্রনের বিস্তার যে হারে ঘটছে তাতে লকডাউন দেওয়ার কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, “লকডাউন এই মুহূর্তে দিয়ে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।
তিনি বলেন, “ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখব হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেব। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।”
এনএইচবি/
