মুখোমুখি বাইডেন-সি
ছবি:সংগৃহীত
দীর্ঘ ছয় বছর পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান তিনি। আজ বুধবার সান ফ্রান্সিসকোয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর। এরপর সেখানেই এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে চান তিনি। এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বাইডেন ও সি মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিরোধ কমানোর সুযোগ হিসেবে এই বৈঠককে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। বাইডেনের শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হবে।
চীনা প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি গতকাল সান ফ্রান্সেসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান সি চিন পিং। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এবং চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসসহ মার্কিন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর ঘণ্টাদুয়েক আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এপেক শীর্ষ সম্মেলনে আসা ২১ জন মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন অঞ্চলে বিশ্বাস করে যেখানে অর্থনীতি নিজেই তার পথ বেছে নিতে পারবে। আইন মেনে স্বাধীনভাবে পণ্য ও ধারণার প্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
ব্লিঙ্কেন চীনের নাম উল্লেখ না করলেও তার বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ছোট দেশগুলোর প্রতি আধিপত্য বজায় রেখে চলছে বলে চীনের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোর মতে, নিয়মের প্রতিও চীন সম্মান দেখাচ্ছে না।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যকার বৈঠকে কী কী বিষয় আলোচিত হতে পারে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো মুখ খোলেনি দেশ দুটি। তবে উভয় দেশের সংবাদমাধ্যমই বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক আলোচ্য বিষয় বের করে এনেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সি ও বাইডেন দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বন্ধ থাকা সরাসরি যোগাযোগ আবারও চালুর বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে পারেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দেয় চীন।