সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কানাডার ৮ এমপির চিঠি
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন কানাডার পার্লামেন্টের আট সদস্য। এতে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তারা। ওই আট এমপি কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ার ব্রেড রেডেকপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এ তথ্য জানিয়েছেন। চিঠিতে সই করা কানাডার আট এমপির মধ্যে আছেন- ব্র্যাড রেডেকপ, সালমা আতাউল্লাহজান, সালমা জাহিদ, লুক দেসিলেতস, কেন হার্ডি, ল্যারি ব্রোক, রবার্ট কিচেন ও কেভিন ওয়েগ।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এমপিরা বলেছেন, কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) বলতে চাই, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দেখার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করছি। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
চিঠিতে তারা বলেন, আমরা আশা করি, আপনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করবে। ভোটের অনিয়ম, যেমন: ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোট কারচুপি ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করার মতো ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হবে।
‘আমরা আশা করি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আপনার সরকার সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সব বাংলাদেশির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে। এছাড়া, সব যোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।’
চিঠিতে বলা হয়, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ ও নাগরিকদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে। সব রাজনৈতিক দলকে অবাধে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতে পারে। এটি জাতির গণতান্ত্রিক কাঠামোকেই শুধু শক্তিশালী করবে না, বরং বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হবে।
চিঠিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণ এবং পণ্য বিনিময় আরও বাড়বে। এটি শুধু দুই দেশের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমেই ঘটতে পারে।
চিঠির শেষাংশে আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারপ্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।