বিমান ভাড়ার সমস্যা সমধানে ৪ প্রস্তাব
কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটের প্রস্তাব অনৈতিক
মালয়েশিয়ার সব রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মাত্র ২৫টি এজেন্সির সিন্ডিকেট এবং ২৫০ সাব এজেন্টের প্রস্তাব চরম অনৈতিক, অনভিপ্রেত, সমতার পরিপন্থী এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ২৫ সিন্ডিকেটের পক্ষে গত ১৪ জানুয়ারি বাংলদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহম্মেদের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
দেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি একই জামানত প্রদান করে লাইসেন্স নিয়েছে। আইনগতভাবে সব রিক্রুটিং এজেন্সি সমমানের হওয়া স্বত্বেও ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট আর তাদের সাব এজেন্টসহ হবে ২৫০ এজেন্সি–এটি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য চরম অবমাননাকর। একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অন্য একটি সমমানের রিক্রুটিং এজেন্সির সাব এজেন্ট কোনো অবস্থায়ই হতে পারে না।
রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা জানেন না মালয়েশিয়ার চিঠির জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী কী লিখেছেন। এ সম্পর্কে তারা বলছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকার তথা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ২৫ সিন্ডিকেটের প্রস্তাব গ্রহণ না করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণের অধিকারের কথা উল্লেখ করে ১৮ জানুয়ারি চিঠি লিখেছেন। মালয়েশিয়ার সব রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী নিয়োগে সম্পৃক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সি তাহলে কেন কর্মী প্রেরণ করতে পারবে না?
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে অতীতের ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেট ছাড়া ২০১৬ সালে অন্য একটিও এজেন্সি কর্মী প্রেরণের অধিকার পায়নি। আমরা আশঙ্কা করছি অতীতের ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেট বর্তমানে ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট করছে।
বিমানের টিকিটের সমস্যা সমাধানে প্রস্তাবনা–
১. জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট হতে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
২. রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ সব এয়ারলাইন্সে লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করতে হবে।
৩. বাংলাদেশকে ওপেন স্কাই ঘোষনা ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৪. বাংলাদেশ বিমানসহ সব বৈদেশিক এয়ারলাইন্স সমূহকে যৌক্তিক ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে এবং দুই-তিনগুণ মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত (সিন্ডিকেট) এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এম টিপু সুলতান, আরিফুর রহমান, লিমা বেগম প্রমুখ।
আরইউ/এসএ/