রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপে রাখতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান
আমরা বৃটিশ সরকার এবং পার্লামেন্টকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফররত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলটি কুতুপালং ও ভাষানের চরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে।
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ টমাস প্যাট্রিক হান্ট এবং পল ব্রিস্টো কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দুটি ক্যাম্পের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং মিয়ানমারে চলাফেরার স্বাধীনতার জন্য তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন।
যুক্তরাজ্যের এমপিরা উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ জনগণ, বিশেষ করে ব্রিটিশ মুসলিমরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে অনুভব করে এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দ্বারা উদারভাবে সমর্থন করা এই বিশাল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রয়েছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল ব্রেক্সিট পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় এবং সেই সঙ্গে তাদের আদি বা পূর্বপুরুষের দেশে বহুমাত্রিক অবদানে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ প্রবাসীদের প্রশংসা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী মোমেন আশা প্রকাশ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময় হবে। তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগো এবং লন্ডন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন ব্যস্ততার কথা স্মরণ করেন এবং 'ব্রিট-বাংলা বন্ধন' উদ্যোগ গ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস (এফসিডিও) কে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে তাদের সফরের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের সঙ্গে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, জিব্রাল্টারের ব্যবসা, পর্যটন, পরিবহন ও বন্দর মন্ত্রী বিজয় শামদাস দারিয়ানি, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সিইও সামান্থা হেলেন কোহেন সিভিও এবং জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হুসেন।
আরইউ/এসআইএইচ