দেশে ১০ বছরের গ্যাস মজুত রয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে ১০ বছরের প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত রয়েছে। দৈনিক গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সংসদের বৈঠকে ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুত গ্যাসে ১০ বছর চলবে। বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক উৎপাদনের এ হার কম হলে এবং গৃহীত বা গৃহীতব্য প্রকল্পের আওতায় ভবিষ্যতে নতুন কোনো গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার তথা উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে এই সময় আরও হ্রাস/বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি বলেন, দেশে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্র ইলিশার মজুতসহ বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর উত্তোলন করা হয়েছে এবং ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত অবশিষ্ট রয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির (তিতাস গ্যাস, বাখরাবাদ গ্যাস, জালালবাদ গ্যাস, কর্ণফুলী গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস এবং সুন্দরবন গ্যাস) মাধ্যমে ৩০টি জেলায় বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের (বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা-বাগান) কাছে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বাসস