বাংলাদেশকে পরিচিত করতে কমন ব্র্যাণ্ডিং প্ল্যাটফর্ম করবে সরকার
বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করতে একটি কমন ব্র্যাণ্ডিং প্ল্যাটফর্ম গঠন করবে সরকার। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সংক্রান্ত 'ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাব্রোড' শীর্ষক কমিটির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, কমন ব্র্যাণ্ডিং প্ল্যাটফর্ম গঠন করে তার অধীনে দেশের সকল সরকারি বেসরকারি সংস্থা নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিংয়ের কাজ করে যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তার বিদেশস্থ মিশনসমূহ ব্র্যাণ্ডিং এবং এ সংক্রান্ত সকল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সংক্রান্ত 'ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাব্রোড' শীর্ষক কমিটির সভা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্রসচিব ( সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, আইসিটি বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ( এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমই) এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে পররাষ্ট্রসচিব অর্থনৈতিক কূটনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো তুলে ধরেন। এ সভায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরির ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্য, অন্য দেশকে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা, বাংলাদেশের সাহসী মানুষের সফলতার গল্প, পর্যটন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন-ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভা শেষে পররাষ্ট্রসচিব উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান এ সভা আহবানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
আরইউ /