ঢাবি’র জায়গায় পুলিশ ফাঁড়ি
বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি অন্য সংস্থার দখলে। একাধিকবার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি, আনন্দবাজার সংলগ্ন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এবং বাংলাদেশ পরমাণু কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, দখলে রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন সময়ের পত্র মারফত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত বলে ঘোষনা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরেয়র জমি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকট স্থান সংকুলানের অভাব বিবেচনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি খালি করে উক্ত জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য রেজিস্ট্রার ২০০৮ সালের ২১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ করে। এরপর ২০০৮ সালের ৩ জুন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ জায়গা হতে পুলিশ ফাঁড়িটি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তৎকালিন পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় কোন প্রকার ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে ২০০৫ সালের ১৪ মে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রেজিস্ট্রার ২০০৫ সালের ২৯ মে পুলিশ কমিশনারকে পত্র প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রেজিস্ট্রার ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এস্টেট) ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে বাবুপুরার পুলিশ ফাঁড়ির জায়গায় ৬ষ্ঠ তলা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান। তার প্রেক্ষিতে উক্ত স্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আনবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের (অধুনা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন) ভবন ও জমি ঢাবির নিকট হস্তান্তর সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর টিএসসিতে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রটি সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ার পর উক্ত কেন্দ্রের জমি এবং ভবনাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হবে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী কর্তৃক ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে পত্র প্রেরণ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ভূমি ও ভবনসমূহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট হস্তান্তর করার জন্য পত্র পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ পূর্বের পত্র দ্বারা সকল কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়।
এসএম/