দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। রবিবার (২৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৮ স্কোর নিয়ে ঢাকা শীর্ষস্থানে উঠে আসে। যেখানে শনিবার (২৭ মে) ৯২ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ১২তম।
ঢাকার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা (১৫৭) ও ব্রাজিলের সাও পাউলো (১৫৪) একিউআই নিয়ে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
বায়ুর মান সূচকে ‘ভালো’ মানের বায়ুর ক্ষেত্রে স্কোর শূন্য থেকে ৫০। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সেটিকে খারাপ বলে গণ্য করা হয়। একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘খারাপ’ বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। আর ঝুঁকিপূর্ণ একিউআই স্কোর বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন ঝুঁকিপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো।
এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
কেএম/এসএন