‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়েছে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র।
‘বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় সম্প্রতি এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) বিকালে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়েছে। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্রগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ থেকে আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলস থেকে ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম এবং লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত শি সেলস শেলফিশ।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী এবং নদীর পাশে বসবাসরত অঞ্চলের মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য।
প্রদর্শনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ।
এ ছাড়া, অতিথি এবং দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণাক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে চারটি প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের চরিত্রদের পরিচয়পর্ব এবং একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
ডেভিড নক্স বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সকলকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ-কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ ফিল্মসের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো আমাদের কতটা কাছাকাছি তা দেখতে ও বুঝতে পারছি, আর এ থেকে উত্তরণে কার্যকরী পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি’।
এ প্রদর্শনির মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করা। ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ চলচ্চিত্র প্রকল্প। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন। সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
এ প্রকল্পে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন প্রোগ্রাম আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং অন্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক অংশীদারিত্ব তৈরি এবং উদীয়মান শিল্পীদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় ৪১টি দেশের ৯৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
এনএইচবি/এমএমএ/