একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহিদ মিনারে ৫ জনের বেশি নয়
নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আকারে এবারের ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিতে এলে করোনাভাইরাসের টিকার সনদ সঙ্গে রাখতে হবে এবং সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ কামাল, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট, সিন্ডিকেট, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রীয় রীতি অনুসারে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
এপি/