মারধরের পর আনোয়ারকে সাগরে ফেলে জলদস্যুরা: র্যাব
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের কবলে পড়েন ১৭ জেলে। এর মধ্যে ১৬ জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সন্ধান মিলছিল না আনোয়ার হোসেন নামের আরেক জেলের। বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধান ও তার ১৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, মারধরের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আনোয়ার। পরে তাকে সাগরে নিক্ষেপ করে জলদস্যুরা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) র্যাব সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব বলছে, ‘গত ১৪ জানুয়ারি অপহৃত ১৭ জেলের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জেলে আনোয়ার হোসেন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রেপ্তার জলদস্যুরা জানান, গত ১৬ তারিখ রাতে অপহৃত জেলেদের ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। জেলে আনোয়ার হোসেনকে সে সময় নির্মমভাবে মারধর করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে তিনি ব্যাপক অসুস্থতা বোধ করলে তাকে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়। এই আনোয়ারের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যেতে পারে।’
সাগরে জেলেদের অপহরণের অভিযোগ পেয়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ ভিকটিমদের উদ্ধারে ব্যাপক আভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের অভিযানের প্রেক্ষিতে জলদস্যুরা জেলেদের ছেড়ে দেয়। তারা মূলত কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধানের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করে।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক চৌকস দল চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যু নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মোতালেব এবং মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি জলদস্যুদের গ্রেপ্তার করে। চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি ক্রিজ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া।
আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মো. নুরুল কবির, মো. আব্দুল হামিদ ওরফে প্রকাশ, আবু বক্কর, মো. ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, মো. সফিউল আলমপ্রকাশ মানিক, মো. আব্দুল খালেক, মো. রুবেল উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম জিকু, মো. সুলতান এবং মো. মনজুর আলম।
এনএইচ/এসআইএইচ