‘বাংলাদেশ-ইইউ বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদার’

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে একটি বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলে অভিহিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার (৫ মে) ব্রাসেলসে সাক্ষাৎকালে এমন মন্তব্য করেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস।
শনিবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রাসেলসে তার চার দিনের সফরের শেষ পর্যায়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম শুক্রবার (৫ মে) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দফতরে ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করে ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব হিসেবে বর্ণনা করেন এবং এ বিষয়ে ইইউয়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইইউ-এর ইবিএ স্কিমের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হিসেবে বাংলাদেশকে প্রশংসা করে বাণিজ্য কমিশনার এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের স্নাতক এবং জিএসপি ছাড়ে বাংলাদেশের আবেদন করার জন্য ইইউ-এর সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ এবং ইইউ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সকে ইউরোপীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসার অর্থপূর্ণভাবে একত্রিত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বাংলাদেশের অভিযোজনের প্রশংসা করেন।
স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউয়ের ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্টকে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত করার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে ইইউয়ের অনেক বড় ভূমিকার কথা অবহিত করেন।
বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তির দ্রুত সূচনার আশা প্রকাশ করেছে যা উন্নত সম্পর্ককে সুসংহত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি প্রক্রিয়া হবে।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী আলম বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকা, ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের প্রভাব, বৈশ্বিক শান্তি, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আরও অনেক বিষয়ে ইন্টারেক্টিভ কথোপকথন করেন।
আরইউ/আরএ/
