স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন চান মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি নতুন আইন করতে হবে।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বসা বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
রবিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চলা বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ না থাকলে রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়তে পারে। নতুন আইন হওয়া উচিত, যাতে মিথ্যাচার, স্বাধীনতা বিরুদ্ধাচারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি ল কমিশন নাকি এ ধরনের একটি আইনের প্রস্তাব দিয়েছে। জাতিকে সেফ রাখার জন্য এ আইনটি যাতে এ সংসদে পাস করা যায়, সে আহ্বান জানাব।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সংসদ অকার্যকর করার জন্য গত দুটি নির্বাচন তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত করছে। তারা শুধু চক্রান্তই করছে না, তারা এ সংসদকে বিশ্বাস করে না, দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের মুখপাত্র হিসেবে তারা এ কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সংসদ যেহেতু সমস্ত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, তাই এখানে মিথ্যাচার-ইতিহাসের বিকৃতি, তারা যখনই সময় পায় তখনি সে প্রচেষ্টা চালায়। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জেল হত্যা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, তিনিই দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তির জন্য এ আইনটি করতে পারেন।’
এনএইচবি/এমএমএ/