অনলাইনে ট্রেনের শতভাগ টিকিট, আছে ক্ষোভ ও উচ্ছ্বাস
এই প্রথম ঈদুল ফিতরের জন্য ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এই টিকিট পাওয়া না পাওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, এক মিনিটেই সব টিকিট শেষ আবার কেউ বা ৪ মিনিটে টিকিট শেষ হয়ে গেছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তবে অনেককে আবার ইতিবাচক মন্তব্য করতেও দেখা গেছে। ইতিবাচক মন্তব্যকারীরা বলছেন, একসঙ্গে ৫ লাখ টিকিট প্রত্যাশী লগইন করতে চান। অন্যদিকে টিকিট আছে ৩০ হাজার। কাজেই টিকিট তো নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। এর মানে এই নয় যে টিকিট কালোবাজারে চলে গেছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরে ঘরে ফেরার অগ্রিম টিকিট। সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে ঢুকে টিকিট কাটতে পেরেছেন নিবন্ধিত যাত্রীরা। টিকিট কাটতে পেরেছেন বা পারেননি এমন যাত্রীরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আশিকুর রহমান নামের এক যাত্রী লিখেছেন, এক মিনিটেই টিকিট শেষ। এটা কীভাবে সম্ভব?
আবুল আলা মওদুদী নামের একজন লিখেছেন, আমি নিজেই আজ কাটছি দুইটা আইডি থেকে ৭টা, যারা পায় না তারাই সিস্টেমকে দোষ দেয়।
কিন্তু শাহরিয়ার হোসেন শিমুলের অভিজ্ঞতা আবুল আলা মওদুদীর মতো অত ভালো না। শিমুল লিখেছেন, আমি ঢাকা টু গাইবান্ধা ৪টা টিকিট কাটতে ধরছিলাম, ৮টায় ঢুকলাম কিন্ত কয়েক সেকেন্ডে সব টিকিট শেষ।
আব্দুর রহমান প্রিন্স লিখেছেন, কেন শেষ হবে না? প্রতিদিন টিকিট ওপেন হয় ২৫ হাজার। লগইন হয়েছে ৭ লাখ প্লাস। টিকিট তো ১ মিনিটেই শেষ হবে।
হাফিজুর রহমান লিখেছেন, কিসের ১ মিনিট, ২৫ সেকেন্ডে সব টিকিট শেষ।
ইমতিয়াজ মীর নামে একজন টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, সবাই টিকিট পাবেন না। ধরেন টিকিট নিতে ইচ্ছুক ৫ লাখ যাত্রী, আর সেখানে পাবেন মাত্র ৩০ হাজার জন। আপনি পান নাই তার মানে এই না যে সব টিকিট ব্ল্যাকে চলে গেছে।
এ বিষয়ে রেলের ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলেন, প্রথমবার সব টিকিট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সাধারণ মানুষের টিকিট কাটা নিয়ে ভোগান্তি একেবারেই নেই জানিয়ে সফিকুর রহমান বলেন, টিকিটের জন্য স্টেশনে রাতভর অপেক্ষা করতে হয়নি যাত্রীদের। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন। অনলাইনে টিকিট কাটতেও জটিলতা ছিল না।
জানা যায়, আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দেওয়া হয়েছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এ ছাড়া ৮, ৯, ১০ ও ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে যথাক্রমে ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ এপ্রিলের টিকিট।
ঈদের ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের টিকিট।
রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।
আরইউ/এসজি