বিনামূল্যে মাস্কসহ ৫ দফা সুপারিশ পরামর্শক কমিটির
দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে নয় হাজারে পৌঁছেছে। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২৫ ছাড়িয়ে গেছে। একদিনের ব্যবধানে নতুন রোগী বেড়েছে ১ হাজার ৯৩ জন। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বুধবার রাতে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৩তম সভা জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়। কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সভায় পাঁচটি সুপারিশ করা হয়।
করোনা নিয়ন্ত্রণে জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে বলা হলেও অনেকের মধ্যেই তা মানতে অনীহা দেখা যায়।
প্রথম সুপারিশে বলা হয়, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবেন। এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিশ্চিত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন—এমন ব্যক্তি, যাদের কোনো উপসর্গ নেই, তাদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশস্থলে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করে কমিটি।
সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ ও নন-কোভিড, সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে কমিটি।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নে অংশীদের, যেমন পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতাসহ, সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশও আসে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করেছে। এ কাজে জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। তাদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরা এবং অন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়।
টিটি/