ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের শেষ অধিবেশনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে এককালীন বরাদ্দের প্রস্তাব নাকচ

গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যে বরাদ্দ দেয় সেটা এক কালীন দেওয়ার একটা প্রস্তাব করেছিলেন জেলা প্রশাসকরা। মন্ত্রণালয় সেটি নাকচ করে দিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, দুই বা তিন কিস্তিতে দিলে কাজ ঠিক থাকে। কাজের মনিটরিং ভালো হয়। কাজের ফলাফল ভালো হয়।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের শেষ অধিবেশনে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্যঅধিবেশন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই কার্য অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা ইজিপিপি প্রকল্পে সকল উপজেলায় কার্যক্রম নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আমরা বলেছি যে উপজেলাগুলো উন্নত হবে সেগুলোতে আমরা ইজিপিপি প্রকল্প ক্রমান্বয়ে বাদ দেব। পিছিয়ে পড়া উপজেলায় আমরা বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করব। ইজিপিপিতে আগে দৈনিক বরাদ্দ ছিল ২০০ টাকা। সেটাকে আমরা এই অর্থ বছরে বাড়িয়ে করেছি ৪০০ টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড় ধ্বসের বিষয়ে আগাম কোন সতর্কবার্তা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি এবং এটা নিয়ে কাজ করব।
ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লা বাড়ানোর জন্য ডিসিরা সুপারিশ করেছেন। আমরা একমত প্রকাশ করেছি এবং তাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছি। কারণ ঘুর্ণিঝড়, বন্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি আশ্রয় কেন্দ্রের ঘাটতি এখনও আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. এনামুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় সাত হাজারের মত ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র আছে। আমরা ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২২০টি নতুন আশ্রয় কেন্দ্র করেছি। আরও এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র করার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।
'আরেকটি প্রস্তাব ডিসিরা দিয়েছেন। সেটি হল সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক জেলে নিখোঁজ হয়ে যান। কিন্তু তাদেরকে তারা মৃত ঘোষণা করতে পারেন না। এ জন্য তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, কোন আইনী কাঠামো তৈরি করে তাদেরকে মৃত ঘোষণা করার জন্য। তা না হলে ওই পরিবারের লোকজন সরকারের অনেক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন, সুবিধাদি পান না। এটি অত্যন্ত সুন্দর প্রস্তাব, আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলেছি মন্ত্রিসভায় আলোচনা করার জন্য', যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এনএইচবি/এএস
