ডিসি সম্মেলন
ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে ডিসিদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
পথে পথে রাজধানীমুখি কৃষি পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ট্রাকের খরচ বা কোথাও যদি চাঁদাবাজির শিকার যদি তারা হন, তাহলে কত টাকা কোথায় দিলেন, সেটা আমরা বের করি। তারপর আমরা চেষ্টা করব জাতীয় পর্যায়ে একটি ব্যবস্থা নিতে, যাতে এটি বন্ধ করা যায়। এ বিষয়টি আজ তুলে ধরেছি আর ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি।’
রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ডিসি সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল যদিও আমাদের জলবায়ু উৎপাদনের উপযোগী। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমরা আধুনিক কৃষিতে যেতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘দিনাজপুর, ঈশ্বরদী বা সাতক্ষীরায় উৎপাদিত ফসল মাঠ পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রি করে ১৫ টাকা পাচ্ছেন চাষি। ঢাকায় এসে সেটা কেন ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হয়। এরা হলেন মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়িয়া। পৃথিবীজুড়েই মধ্যস্বত্বভোগী আছে। এর বাইরেও আরো কিছু আছে অপ্রত্যাশিত। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকে তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হয়।’
ড. আব্দুর রাজজ্জাক বলেন, এসব কমাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সব ডিসিই বলেছেন তারা দায়িত্ব নেবেন। কেবিনেট সচিব বলেছেন তারা একটি স্টাডি করবেন। একটা ট্রাক ঈশ্বরদী বা দিনাজপুর থেকে ঢাকায় এসে আসলে কত দাম পেল- এ বিষয়গুলো কতিয়ে দেখা হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট করে, যেমন আমের পোকামাকড়। আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি আন্তর্জাতিকমানের ল্যাব স্থাপনের। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট দেবে।’
তিনি জানান, পূর্বাচলে প্রধানমন্ত্রী দুই একর জমি দিয়েছেন। সেখানে ল্যাবরেটরি ও প্যাকিং হাউজ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বিদেশে বিক্রি করা যাবে। এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত সাপোর্ট দেবে এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহযোগিতা করবে তারা।
এনএইচবি/এসএন