সব সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব সেনানিবাস ও বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টগুলোতে উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উদযাপনে সেনাবাহিনীর সব স্তরের সামরিক এবং বেসামরিক ব্যক্তির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এদিন সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণকালে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণকালে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্তঃবাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এসময় তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সব সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকাসহ সব সেনানিবাস এবং বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর আলোচনা অনুষ্ঠান, ৭ মার্চের ভিডিওচিত্র এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
এদিন জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সেনানিবাসের সব মসজিদে জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
এসময় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেই সঙ্গে সেনাবাহিনী পরিচালিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর উপর আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসজি