জাতীয় লবণনীতি, বৈষম্য বিরোধী আইনের খসড়া অনুমোদন
সরকার জাতীয় লবণনীতি-২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকার বৈষম্য বিরোধী আইন ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার (১৭জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দুটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, লবণ চাষের নতুন নতুন জায়গা উদ্ভাবন করা, নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৫ মেয়াদি এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে পারলে লবণ উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। আমাদের লবণের কোন ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাৎসরিক খাত ভিত্তিক লবণের চাহিদা নিরূপণ করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ উৎপাদন করতে হবে। লবণ চাষীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। অপরিশোধিত লবণের মান ও মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। ঈদ উল আযহার সময় চামড়াগুলো যেন সংরক্ষণ করতে পারি সেজন্য পর্যপ্ত লবণের ব্যবস্থা করতে হবে। গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। আয়োডিন ঘাটতি দূর করতে বোজ্য লবণে আয়োডিন মিশ্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া আপদকালীন সময়ে লবণের একটা বাফার স্টকের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য একটা লবণ শিল্প জরিপ করতে হবে। তার ভিত্তিতে এই স্টক করতে হবে।
বৈষম্য আইন সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আর্টিকেল ২৭ ও ২৮ এ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দেশে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে সুস্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। তারই আলোকে এই আইনটা আনা হয়েছে। এখানে ১৭টি ধারা আছে। এই আইনের আলোকে একটা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে থাকবে। জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা পর্যায় বা যে পর্যায় পর্যন্ত সরকার চায় সেখানে তারা মনিটরিং করবে কোথায় হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়।
এখানে একজন সভাপতি থাকবেন। জাতীয় পর্যায়ে মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপত্বি করবেন আইনমন্ত্রী। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব কমিটির সদস্য সচিব হবেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী একটা সেল গঠন করা হবে। যেই সেলে বৈষম্য বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক প্রতিকার করার জন্য বৈষম্য বিরোধী জাতীয়, বিভাগী, জেলা বা অন্যান্য কমিটি গঠন করবে। এ জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যাতে কোনভাবেই কোন বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে কেউ যদি কোন অভিযোগ দায়ের করে তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি ঘটনার তদন্ত করবে। প্রতিকার প্রদানের ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী বিভাগীয় কমিটির কাছে অভিযোগ করবে। ৪৫ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিটি তদন্ত করবে। তারাও যদি ব্যর্থ হয় তাহলে জাতীয় কমিটি সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে সে মামলা নিষ্পত্তি করবে। যদি ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে না পারে তাহলে সর্বোচ্চ আরও ১৫ দিন সময় নিয়ে মামলা শেষ করতে হবে।
এনএইচবি/এমএমএ/