মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের খসড়া অনুসমাদন
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং এ এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত এই আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে। এই আইনের মূল বিষয় হচ্ছে একটা কাউন্সিল থাকবে এবং সেটির নাম হবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন। সচিবও ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন। কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা নয় জনের পরিবর্তে ১১ জন হবে। আগের আইনে নয় জন ছিল।
আর কাউন্সিলের মহাপরিচালক যিনি থাকবেন তিনি সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, উনাদের কাজ হবে অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভূক্ত ও সনদ প্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
তারপর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল শাসম, আল বদর হিসেবে যারা কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধার সমারিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন বা খুন,ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য অপরাধমূলক ভিন্ন কার্যক্রম দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন তাদের তালিকা করা। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছেন তাদের তালিকা ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল স্তরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করা। উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের কোর্স কমান্ডার, সাব-সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কর্মকান্ডের সহিত যুক্ত কোন বিশেষ ব্যক্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি জানান, সংগঠন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কাউন্সিলের পরিবর্তে নিবন্ধক এবং তত্ত্বাবধায়কের পরিবর্তে প্রশাসক প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে ওইখানে ছিল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন করবে। কিন্তু এখন একটা আলাদা রেজিস্ট্রার করে দেওয়া হল।
নতুন আইনের এই কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তাহলে সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা যাবে। কাউন্সিলের একটা তহবিল থাকবে। সরকার সেখানে ফান্ড দেবে। পাশাপাশি তারা সাহায্য, মঞ্জুরি বা অন্যভাবে ফান্ড যোগাড় করতে পারবে।
এনএইচবি/এমএমএ/