৪০ দেশের কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবন্ধ
সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বছরের প্রথম কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ব্রিফিংকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরটি ছিল পুনরুদ্ধার ও আশার বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর যুগল উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।’
দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশের চমকপ্রদ সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি মহামারী মোকাবেলায় সরকারের সফল ব্যবস্থাপনা এবং এজন্য ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা ও প্যাকেজ তুলে ধরেন। মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত বছর ৫ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলেও কূটনীতিকদের জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন।
দেশে এই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে কাঁচের সিলিং ফাটতে শুরু করেছে।’ তিনি জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের অধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ ও ফলাফল সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বর্তমান সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি আইনের অপব্যবহার বা অপব্যবহার মোকাবেলা করার জন্য সরকারের প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
ব্রিফিংয়ে ৪০ জন কূটনীতিক যোগ দেন। এরপর একটি ইন্টারেক্টিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলডিসি গ্রাজুয়েশন, ব্যবসা ও বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
আরইউ/এসপি