হ্যাট্রিক বিজয়ের পথে আইভী
হ্যাট্রিক বিজয়ের পথে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ১০০ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. সেলিনা হায়াত আইভী পেয়েছেন ৭৬ হাজার ১৩৭। অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীক নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৪৯ ভোট।
জয়ের ব্যাপারে আঁচ করতে পেরে সন্ধ্যার পর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়ির সামনে উল্লাস শুরু করেছে সমর্থকরা। আইভীর সমর্থকরা বলছেন, টানা তৃতীয়বার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে চলেছেন নৌকার প্রার্থী।
আইভীর বাসভবন ‘চুনকা কুটির’ এর পাশে প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে সমবেত হয়েছেন কয়েক হাজার সমর্থক। এসময় তারা গগবিদারী স্লোগান দেন এবং আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন।
তবে সেলিনা হায়াৎ আইভীর মিডিয়া সেল ১৯২টি কেন্দ্রের সবগুলোরই ফলাফল দিয়েছে। তাতে দেখা যায় আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি দেশের প্রথম কোনো সিটি করপোরেশনের নারী মেয়র।
২০১১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এরপর ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রায় ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
কর্মজীবনে চিকিৎসক হলেও রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া এই নারী ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জের পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সার্বক্ষণিক রাজনীতিতে নামেন। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর তিনি টানা তিনবার মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন।
১৯৬৬ সালের ৬ই জুন জন্ম নেওয়া ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভির বাবা নারায়ণগঞ্জের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বনামধন্য নেতা, মা মমতাজ বেগম।
সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৮৫ সালে রাশিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। জয়ীও হন বিপুল ভোটে। টানা আট বছর পৌর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন সেলিনা হায়াৎ আইভি। তারপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হলে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন।
আরইউ/