মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাকার চেহারা বদলে দেবে রেল যোগাযোগ: প্রধানমন্ত্রী

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢাকা শহরের চেহারা বদলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা শহরেই রেল যোগযোগের একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হবে। এতে মানুষের যোগাযোগ, যাতায়াত এবং আমাদের তেলের খরচ অনেক কিছুই বাঁচবে। ঢাকা শহরও যানজট মুক্ত হবে। সেভাবেই আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩টি প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার রেলপথে রূপপুর (ঈশ্বরদী), শশীদল (কুমিল্লা) এবং জয়দেবপুর (গাজীপুর) এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তার সরকার নতুন নতুন রেল লাইন করে যাচ্ছে, যাতে সারা বাংলাদেশে একটি রেল যোগাযোগের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুরে একযোগে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলপথ সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ।

অনুষ্ঠানে রেলের তিনটি প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি- যেটা পরবর্তীতে উত্তরা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। মেট্রোরেলের ক্ষেত্রে আমরা পাতালেও যাচ্ছি। এমআরটি লাইন-১ এর অধীনে পাতাল রেলের নির্মাণ কাজেরও শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেল খাতে সকল প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তঃদেশীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নব-দিগন্তের সূচনা হবে এবং রেল পরিসেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন ৩২ কিলোমিটার রেলপথ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যে সব রেল-লিংক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেগুলো একে একে উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি-১) এর অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (ডিটিজেডিএলপি)’- শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ দশমিক ৯ কিলোমিটার রুটে ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এই সেকশনে ডাবল লাইনে ট্রেন চালু করা হলে ধীরাশ্রম স্টেশনে ক্রসিং এর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ফলে সকল ট্রেনের যাত্রা সময় বাঁচবে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এরপর আমরা দেখেছি রেল নিয়ে নানা খেলা চলছে। রেল লাভজনক নয়, এই অজুহাত তুলে রেলকেও বন্ধ করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়। রেলের লোকবল গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় অনেক রেল লাইনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী তখনই এটা করা হয়।

সরকার প্রধান বলেন, তার সরকার রেলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করে। কারণ, রেল মন্ত্রণালয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় অধিকাংশ বরাদ্দই সেখানে চলে যেত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে তার সরকার ৬৫০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ২৮০ কিলোমিটার মিটারগেজকে ডুয়ালগেজে রূপান্তর এবং ১ হাজার ২৯৭ কিলোমিটার লাইন পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ করেছে। ১২৬ নতুন স্টেশন ভবন ও ২২৩টি স্টেশন ভবন পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ করেছে। পাশাপাশি ৭৩২টি নতুন রেলসেতু, ৭৭৪টি রেলসেতু পুনর্বাসন/পুনঃনির্মাণ এবং ৫০টি ব্রডগেজ ও ৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ১০৬টি লোকোমোটিভ, ২০ সেট ডিইএমইউ, ৫৩৫টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ এবং ৫১৬টি মালবাহী ওয়াগন সংগ্রহ করেছি। ১৩০টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করেছি। ইতিমধ্যে ৪৪টি নতুন এবং বর্ধিত রুটে মিতালী এক্সপ্রেসসহ মোট ১৪২টি নতুন ট্রেন চালু করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের লক্ষে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করছে। পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের রূপদিয়া ও সিঙ্গিয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দু’টি অগ্রাধিকার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু, খুলনা-মোংলা ব্রডগেজ রেললাইন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল-লাইন নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবল-লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ লাইন, ভাঙ্গা-বরিশাল-পায়রা বন্দর রেললাইন, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ ডাবল-লাইন, খুলনা-দর্শনা ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণ করছে। তা ছাড়া, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ-জামালপুর ডুয়েলগেজ ডাবল-লাইন,রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র রেল-লিংক, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন, ধীরাশ্রম আইসিডি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ‘সিগন্যালিংসহ রেল লাইন সংস্কার ও নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার আওতায় লুপ-লাইনসহ মোট ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক, রূপপুর রেলওয়ে স্টেশন ভবন, ৭টি কালভার্ট, ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেট এবং সিগন্যালিং-টেলিকম কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর ফলে প্রকল্প এলাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলো।

ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরকে ডাবল-লাইনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ইতিপূর্বে এই করিডোরের ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪৯ কলোমিটার ডাবল-লাইন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। অবশিষ্ট ৭২ কিলোমিটার ডাবল-লাইন নির্মাণের উদ্দেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেস্ট ব্যাংক এবং নিজস্ব অর্থায়নে ‘আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, লাকসাম-কুমিল্লা ট্রেন চলাচল চালু করা হয়েছে। এখন শশীদল হতে রাজাপুর এবং কসবা হতে মন্দবাগ পর্যন্ত রেলপথ ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে যা আজকে উদ্বোধন করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার রুটে ডাবল লাইন এ বছরের জুনে সমাপ্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, আজকে লুপলাইন ও আপ-ডাউন লাইনসহ মোট ৩২ কিলোমিটার নবনির্মিত লাইন উদ্বোধনের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে ট্রেন চলাচল অধিকতর নিরাপদ ও দ্রুততর হবে এবং অধিক সংখ্যক ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী পৃথকভাবে গণভবনে মতিঝিল পুনরুজ্জীবন নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেপ্তার    

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানীর আদাবরের মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার কবজি কাটা আনোয়ার এবং টুন্ডা বাবুর অন্যতম সহযোগী মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোলা সদর থানার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ ও র‍্যাব-২। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি খান আসিফ তপু গণমাধ্যমকে বলেন, ভোলা জেলার সদর মডেল থানা এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আদাবরের চিহ্নিত মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার পানি রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮।

গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আদাবর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। ওই মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে এএসপি খান আসিফ তপু বলেন, রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় দুই ছেলে সন্তানসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন এক ভুক্তভোগী। বাদীর বড় ছেলে মো. রাসেল (৩০) একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির চাকরি করেন এবং ছোট ছেলে মো. বিজয় (২৫) দারোয়ানের চাকরি করেন। 

বিজয় আসামিদেরকে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করলে আসামিরা ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে অবস্থানকালে বিজয়কে দেখতে পেয়ে আসামি মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলসহ এজাহারনামীয় আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আরও ৯/১০ জন মিলে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় বিজয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এই ঘটনার পর বাদীর বড় ছেলে মো. রাসেল উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামি মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলকে জানালে আসামি তাকেও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন এবং গত ১৯ তারিখ রাত দেড়টার দিকে রাসেল বাসায় ফেরার পথে আদাবর থানার শেখেরটেক বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে উক্ত আসামিরা ভিকটিম রাসেলকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিম রাসেলকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম দুজনার মা বাদী হয়ে ৭ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৯/১০ জন আসামিদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল পানি রুবেলকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি  

ছবিঃ সংগৃহীত

হাভিয়ের কাবরেরাই খুঁজে বের করেছিলেন তাকে। দল ঘোষণার দিন ফাহমিদুল ইসলামকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। কিন্তু সৌদি আরবের ক্যাম্প শেষ করে দলের সঙ্গে ঢাকায় আসেননি ফাহমিদ। ফিরে গেছেন ইতালিতে।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সেই দলের সঙ্গে নেই ফাহমিদ। তার না থাকা নিয়ে ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘সে ইতালি ফিরে গেছে। আপাতত আর দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না।’ এতেই বোঝা যাচ্ছে, কোচের মন জয় করতে পারেননি ১৮ বছরের এই তরুণ।

গত ১০ মার্চ সৌদির ক্যাম্পে যোগ দেন ফাহমিদ। দলের অনুশীলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে। ফাহমিদের বেড়ে ওঠা ইতালিতে।

এখন তিনি খেলছেন ইতালির চতুর্থ স্তরের দল ওলবিয়া কালসিওতে।

Header Ad
Header Ad

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা  

ছবিঃ সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট এলাকায় যানজট নিরসনে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

মার্কেট এলাকাগুলোতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে দুপুরে ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডাইভারসন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৭ মার্চ) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মানিত ঢাকা মহানগরবাসীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট কেন্দ্রিক কেনাকাটার জন্য বিপুল জনসমাগম হচ্ছে। বিভিন্ন মার্কেটে ঈদ কেনাকাটায় আগত জনসাধারণ এবং মার্কেট এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের সুবিধার্থে নিম্নোক্ত ক্রসিংসমূহে আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ হতে ঈদের পূর্বদিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকায়/সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি হলে উক্ত এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য তথা মহানগরের অন্যান্য রাস্তা চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনবোধে মাঝে মাঝে নিম্নরূপ ডাইভারসন দেওয়া হবে-

১. সোনারগাঁও ক্রসিং হতে পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) হয়ে পান্থপথ এলাকা/নিউমার্কেট এলাকা/ধানমন্ডি/মোহাম্মদপুর/ঝিগাতলা/মিরপুর গামী যানবাহনসমূহকে ফার্মগেইট বা শাহবাগ এর দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে।

২. পান্থপথ গ্রীন রোড ক্রসিং হতে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনসমূহকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে/রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেইটের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে।

৩. মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আগত সাইন্সল্যাব ইন্টারসেকশন হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহন সমূহকে (সিটি বাস ব্যতীত) সাইন্সল্যাব ক্রসিং হতে বামে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারসন দেওয়া হবে।

৪. নিউমার্কেট ক্রসিংয়ে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহন সমূহকে (সিটি বাস ব্যতীত) নিউমার্কেট ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারসন দেওয়া হবে।

আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ হতে ঈদের পূর্বদিন পর্যন্ত উপরোক্ত ডাইভারসন পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) এবং নিউমার্কেট এলাকায় যানবাহনের চাপ বিবেচনা করে মহানগরের অন্যান্য রাস্তা চলমান রাখার জন্য প্রয়োজনবোধে মাঝে মাঝে বলবৎ করা হবে।

ঢাকা মহানগরবাসীর ঈদ কেনাকাটা সুগম করার জন্য কেনাকাটা ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন সমূহকে আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ হতে ঈদের পূর্বদিন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

নিউমার্কেট ক্রসিং হতে সাইন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের উভয় পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে ৩টি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে। সকল রিকশা চালক ও যাত্রীদের উক্ত লেনে চলাচল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এমতাবস্থায় পান্থপথ এবং মিরপুর রোডে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন সমূহকে উপর্যুক্ত স্বল্প সময়ের ডাইভারসন এবং মিরপুর রোডের নিউমার্কেট এলাকায় রিকশা লেন মেনে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেপ্তার    
ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি  
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা  
ইরানকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে : ডোনাল্ড ট্রাম্প  
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, কিছুক্ষণ পরেই যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন  
চুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ নেতা বহিষ্কার  
দুপুরের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায়  
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং  
ট্রাম্পের সাথে যোগসাজশ করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২০০  
মেসিকে ছাড়াই দল ঘোষণা করল আর্জেন্টিনা, দেখুন স্কোয়াড
জানা গেল সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফির স্ত্রীর পরিচয়
এনডিটিভিতে তুলসী গ্যাবার্ডের সাক্ষাৎকার, বাংলাদেশ প্রশ্নে যা বললেন
বিএনপিকে ওয়ান ইলেভেনের মতো মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে : তারেক রহমান
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে নীতিগত অনুমোদন
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির বৃহৎ দল আসছে এপ্রিলে
ভারতীয় মিডিয়া বিশ্বব‍্যাপী বাংলাদেশের বদনাম ছড়াচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৯ মার্চ ভর দুপুরে নেমে আসবে অন্ধকার
৪২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পেলেন আগাম জামিন
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে আ.লীগের ইফতার
গ্রামপুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, কসাইয়ের গোপনাঙ্গ কর্তন