মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি কে হবেন সে বিষয়ে সিদ্দান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষমতা এককভাবে দলীয় সভাপতির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা দলীয় সভাপতি ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিতে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

তার এই প্রস্তাবকে সভায় উপস্থিত দলীয় সংসদ সদস্যরা সমর্থন জানান। এর প্রেক্ষিতে দেশের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর আগেই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাকে মনোনয়ন দিচ্ছেন তা জানিয়ে দেবেন। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুয়ারি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন মনোয়ন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।

১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। তবে যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে তাহলে ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।

এ ছাড়া একাধিক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি ৷

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই কেনাকাটায় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (OTM) এক কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

অনুমোদিত দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬২.৫০ টাকা। এই হিসাবে এক কোটি ১০ লাখ লিটার তেল কিনতে মোট খরচ হবে ১৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

এর মধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সংগ্রহ করা হবে।

এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (OTM) ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এই ক্রয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪.২৩ টাকা। মেসার্স মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন এবং মেসার্স পায়েল ট্রেডার্সকে এই ডাল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মদিনা ট্রেডিং করপোরেশন থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং পায়েল ট্রেডার্স থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

ফাইল ছবি

দেশের খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।

ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেসময় প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ তাদের পরিবারের ৩১টি ব্যাংক হিসাবের ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩১টি ব্যাংক হিসাবের ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আদালতে করা দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৩১ হিসাবের অস্থাবর সম্পদগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্থাবর সম্পদ/সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন/স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এ মর্মে অবরুদ্ধকরণের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও ছোট বোন শেখ হাসিনা ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১২৪টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদনসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও কিছু সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন একই আদালত। একইসঙ্গে হাসিনাসহ পরিবারের সাত জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টিসিবির জন্য রাইস ব্রান তেল ও মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত সরকারের
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
শেখ হাসিনা ও রেহানার পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ
ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয়ের সুযোগ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীনে একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
সাবেক আইজিপি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মারা গেছেন
বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
‘যমুনা রেল সেতু’র উদ্বোধন সম্পন্ন, হুইসেল বাজিয়ে ছুটল উদ্বোধনী ট্রেন
বকেয়ার বেতন ও ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ, জাবি উপাচার্যের পেনশন বাতিল
‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেপ্তার    
ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি  
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা  
ইরানকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে : ডোনাল্ড ট্রাম্প  
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, কিছুক্ষণ পরেই যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন  
চুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ নেতা বহিষ্কার  
দুপুরের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায়  
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং