শর্ত না মানায় ঢাকায় বায়ু দূষণ, সংসদে পরিবেশ উপমন্ত্রী

পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, রাজধানীর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশগত শর্তগুলো মানা হচ্ছে না। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের শর্ত না মানায় ঢাকায় বায়ু দূষণ বেশি। শর্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য জনবলেও সংকট রয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে উপমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা গত এক সপ্তাহ ধরে পৃথিবীর সব থেকে বেশি বায়ু দূষণের এলাকা। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর আসছে। জনমনে উষ্মা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়েও সভা হয়েছে। কিন্তু সারা দেশের মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের মন্ত্রণালয়ের কিছু করা সম্ভব নয়।
হাবিবুন নাহার বলেন, ‘বর্তমানে মেগা প্রকল্পসহ ছোট-বড় অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে। সবই এই শুকনো মৌসুমে হয়ে থাকে। সে কারণে সারা দেশেই এই সময়ে বায়ু দূষণ বেশি থাকে। তবে ঢাকা মহানগরীর দূষণ বেশি। কারণ প্রকল্প শুরুর আগে যে যে শর্তে এই প্রকল্পগুলো সংশ্লিষ্টরা নেন, তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় তা মানেন না।’
এক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে নির্দেশনা দিতে পারি, সতর্ক করতে পারি। সর্বোচ্চ ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে তাদের তদারকি করতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের মাত্র ৩ জন ম্যাজিষ্ট্রেট আছে। সেই ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কীভাবে সারা ঢাকা শহর কন্ট্রোল করব, এটা মাথায় আসে না। আবার কালো ধোয়া যুক্ত গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলেও বিআরটিএ সহযোগিতা করে না। তারপরও যে সকল জায়গায় বেশি দূষণ, সেই সকল এলাকায় অভিযান চালানো হবে বলে।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব থেকে বড় সমস্যা পানীয় জলের। এই পানীয় জলের ব্যবস্থা না করতে পারলে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর একটা বাকী থেকে যায়।
তিনি আরও বলেন, সবুজায়নের জন্য সারা দেশে বনায়ন করা হচ্ছে। প্রতিবছর বনায়নের পাশাপাশি মুজিববর্ষে এক কোটি চারা বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারের পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি।
এনএইচবি/এমএমএ/
