রেলের বেদখল জমির পরিমাণ ২৮১৭ একর: রেলমন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ২ হাজার ৮১৭ একর জমি বেদখলে রয়েছে। রেলওয়ের মোট জমির পরিমাণ ৫৮ হাজার ৪৭০ একর বা ২৩ হাজার ৬৭১ দশমিক ৮৩৫ হেক্টর। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৮৯ একর বা ৬ হাজার ১০৮ দশমিক ৯৭৪ হেক্টও লিজ দেওয়া আছে। আর আর ২ হাজার ৮১৭ দশমিক ১২৩ একর বা ১ হাজার ১৪০ দশমিক ৫৩ হেক্টরও বেদখলে রয়েছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী আরও জানান, বেদখলকৃত রেলভূমির মধ্যে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৯৬ দশমিক ৪৩২ হেক্টর এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এক হাজার ৪৪ দশমিক ১০৩ হেক্টর।
তিনি জানান, নিয়মিত রেলভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বেদখলকৃত জমিতে দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বস্তি, ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ক্লাব ইত্যাদি রয়েছে।
বিকল্পধারার সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম সুজন জানান, বর্তমানে দেশে ৪৩ জেলায় রেলপথ রয়েছে। আর ৩০ বছর মেয়াদি রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান (২০১৬-২০৪৫) বাস্তবায়ন হলে সব জেলা রেল নেটওয়ার্কে আসবে।
তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারী ও সাব স্টেশন নির্মানসহ) চালুর জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিকল্পনা কমিশন ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর অনুমোদিত হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছেন, বন্ধ করে দেওয়া সরকারি পাটকলগুলোর এক হাজার ৫৬ জন শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা পরিশোধে দেরি হচ্ছে। তাদের পাওনা দ্রুত পরিশোধে জন্য অর্থ মন্ত্রাণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলগুলির পাওনা ও অন্যান্য দায়-দেনা পরিশোধে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৮৯১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৮৩০ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সঞ্চয়পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও আয়কর রির্টান দাখিল বাধ্যতামূলক হওয়ায় এক হাজার ৫৬ জন শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। সঞ্চয় অধিদপ্তরের সফটওয়ার টিআইএন ভ্যালিডেশন অফ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রাণালয়ের অর্থ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এনএইচবি/এমএমএ/
