সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটিতে রয়েছে। প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয়, সে জন্য বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ। লিখিত উত্তরে
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়। মূলতঃ পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সুপরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এ বঞ্চনার বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সাল হতে বঙ্গবন্ধু সোচ্চার ছিলেন। ভাষা আন্দোলন সংগঠন ও বাঙালির সকল অধিকার আদায়ে তার ভূমিকা ছিলো অগ্রগণ্য। বঞ্চনায় পিষ্ট দেশের আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও তৎপরবর্তী ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে ৩০ লক্ষাধিক মানুষের আত্মত্যাগ ও লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। যুদ্ধের সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংসতা বিশ্বের অন্য যেকোনো যুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে যায়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি নৃশংসতাসহ ইতিহাসের সকল কালো অধ্যায়কে হার মানিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এত বেশী সংখ্যক মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের চিত্র ইতিহাসে আর একটিও পাওয়া যাবে না। এই ইতিহাসকে স্মরণ রেখে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে সংগঠিত গণহত্যার বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।

একই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কুটনৈতিক পর্যায়ে নানান পদক্ষেপ চালিয়েছি। এরই ফলশ্রুতিতে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে চালানো হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অব রিপ্রেজেন্টিভস) একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন ওহিও অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাট এবং ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান রো খান্না।

পরবর্তীকালে কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাটি পোর্টার এবং নিউজার্সির ট ম্যালিনোস্কি। কংগ্রেসম্যানদের উত্থাপিত প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির কাছে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবটি যাতে বিবেচিত হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ঐকান্তিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সফলতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই নয় বরং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ বিশেষতঃ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও বীরঙ্গনা মা-বোনদের সম্মানিত করা হয়েছে।

সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ব্যর্থতা থাকলে তা খুঁজে বের করার জন্য বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফলতা কী, বর্থ্যতা কী এটা যাচাই করবে জনগণ। এটা যাচাই আমার দায়িত্ব না। সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই নির্ধারণ করবে। তবে সদস্যের যখন এতই আগ্রহ, তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কলেজেও রাজনীতি করেছি। ভিপি ছিলাম। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য হিসাবে কাজ করেছি। রাজনীতি আমাদের পারিবারিক, একেবারে রক্তেই আছে। কিন্তু কখনো এত বড় দায়িত্ব নিতে হবে বলে ভাবিনি। ওই ধরনের কোনো আকাঙ্ক্ষা ছিল না। এমনকি কখনো এই ধরনের দাবিও করিনি। সময়ের প্রয়োজনে যখন যে কাজ দিয়েছে, সেই কাজই করে গেছি। চেষ্টা করেছি। পঁচাত্তরের পরে যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব দিল। বিশেষ করে ১৯৮০ সালে যখন লন্ডনে গেলাম, সেখানে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি।

দীর্ঘ দিন পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনটা সফল হওয়া, কোনটা বিফল হওয়া, সেটা না। সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে।

জাতির পিতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চারণের বেশে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই আকাঙ্খা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন সেটা আমরা বয়োবৃদ্ধ যারা আছি তারা জানি। কিন্তু আজকের প্রজন্ম জানবে না। যদি সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করা যায়, তাহলে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও জনগণ সবকিছুর বিচার করবে।

জাতীয় পাার্টির পীর ফজলুর রহমান সম্পুরক প্রশ্নে জানতে চান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিবৃতকারীদের বিচারের আওতায় আনতে আইন প্রণয়ন করবেন কি না?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ইতিহাস, ১৯৭৫ সালের পর ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষকে সেই ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্তি দেয়। আজকে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল উদ্ভাসিত নয়, দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এখন বিকৃত করার সুযোগ নেই। কেউ তা করতেও পারবে না। এট সম্ভবও নয়।

একই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস যারা বিকৃতি করেছে। আমি যদি ঠিক ৯৬ সালের আগে যাই। তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করবো। ৭৫ সালের পর যারাই ছিলেন, এমন কি যারা সত্য কথাটাও জানতেন তারাও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটা হচ্ছে-দুর্ভাগ্য। রেডিও টেলিভিশন পত্রিকার কেউই বাদ যায়নি। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন। সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।

এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচার করবো সেটা একটা প্রশ্ন। আমি পরিষ্কার কথা বলি। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘণ্য কাজ তারা করে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাজ হলো মানুষের কাছে সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরা। ইতিহাস আজকে মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ তার চর্চা করছে। আজকের যুব সমাজ ইতিহাস জানতে সব চেয়ে বেশি আগ্রহী, এটাই বড় বিচার। যারা সত্যটাতে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল, তারাই আজকে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে চলে গেছে। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্য অনেক কঠিন। তবে এর জয় অবশ্যম্ভাবী। বিচার প্রাকৃতিকভাবেই তাদের হচ্ছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দাবি পূরণের আশ্বাস, ধর্মঘট প্রত্যাহার করল রেলওয়ের রানিং স্টাফরা

ছবি: সংগৃহীত

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাসে সোমবার দুপুরে এ ঘোষণা দেন তারা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে রানিং স্টাফরা তাদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা গত কয়েক মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না, যা তাদের কর্মবিরতির মূল কারণ ছিল।

বৈঠক শেষে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতন ভাতার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুমোদন হয়ে গেছে, তবে কিছু পদ্ধতিগত কারণে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলতে এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণযোগ্য নয়।’’

এছাড়া শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে ১০ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান করার দাবি জানানো হলে, সচিব সেই দাবি মেনে নেন।

Header Ad
Header Ad

বহু জেল খেটেছি আর খাটতে চাই না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এ দেশের মানুষ বহু জেলজুলুম সহ্য করেছে। আমরাও বহু জেল খেটেছি। আর জেল খাটতে চাই না।

রোববার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।

তিনি বলেন, দেশটাতে বহু বছর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশের মানুষের কষ্টে শান্তি এসেছে। দয়া করে দেশটাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা চাই নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু করে নির্বাচন দিন। নির্বাচনের পর যেই ক্ষমতায় আসুক, তাকে আমরা সালাম দিয়ে মেনে নেব। কোনো অনির্বাচিত সরকারের, ব্যক্তির কোনো কথা আমরা মেনে নেব না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহু কথা শুনেছি। আমরা কোনো কিছু বিশ্বাস করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, ড. ইউনূস যে কথা বলেছেন তার কথা রাখবেন। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে একটা নির্বাচন পাব।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মিলন হলে আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

Header Ad
Header Ad

ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের অসুস্থতার খবরের মধ্যেই সায়রা বানু ভক্তদের জন্য একটি চমক দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় জানান, তাকে যেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া না হয়।

সায়রা বানু তার ভয়েস নোটে বলেন, ‘‘আসসালামু আলাইকুম। আমি এ আর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। শুনেছি, তার বুকে ব্যথা ছিল এবং তিনি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি সবার উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকপ্রাপ্ত নই, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী। গত দুই বছর ধরে আমি ভালো বোধ করছিলাম না, তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাতে তার ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। কিন্তু দয়া করে আমাকে ‘এক্স–ওয়াইফ’ বলবেন না। আমরা শুধু আলাদা থাকছি, তবে আমার দোয়া সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে।’’

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমানের মুখপাত্রও জানান, সংগীত পরিচালক অসুস্থ অনুভব করায় তিনি হাসপাতালে চেকআপে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলেন, রোজা রাখার কারণে পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন, যা তার অসুস্থতার মূল কারণ ছিল।

গত বছর এ আর রহমান ও সায়রা বানু বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, তবে তারা তিন সন্তানের মা-বাবা হিসেবে একসঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দাবি পূরণের আশ্বাস, ধর্মঘট প্রত্যাহার করল রেলওয়ের রানিং স্টাফরা
বহু জেল খেটেছি আর খাটতে চাই না: মির্জা আব্বাস
ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু
সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি
হামজা এখন বাংলাদেশে  
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি  
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু  
মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন  
ফারাজ করিম ও ফারহান করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা  
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের  
কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল কর্মীরা, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা
ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান